সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরে গণপরিবহন বন্ধের ডাক
৬ আগস্ট ২০২২ ০১:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শনিবার (৬ আগস্ট) সকাল থেকে মহানগরীতে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রেক্ষিতে ভাড়ার হার পুনঃনির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত গণপরিবহন চলবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে টেলিফোনে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘হঠাৎ করে রাত ১০টায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হলো। এরপর পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ হয়ে গেল। তেল না পেলে গাড়ি চালাব কিভাবে? বাড়তি দামে তেল কিনে লোকসান দিয়ে কিভাবে গাড়ি চালাব? এজন্য ভাড়া পুনঃনির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘মালিকরা গাড়ি না চালালে আমরা কী করতে পারি! লস দিয়ে তো মালিকরা গাড়ি চালাতে পারে না। তবে শ্রমিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’
এদিকে দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার পর থেকে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে যানবাহনের ভিড় শুরু হয়। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সকল পাম্পে প্রায় একযোগে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন পাম্পের সামনে তেল নিতে আসা লোকজন বিক্ষোভও করেছেন।
আরও পড়ুন
শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় সরকার। ডিজেলের দাম লিটারে ৩৪ টাকা, অকটেনের দাম লিটারে ৪৬ টাকা আর পেট্রলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
এখন এক লিটার ডিজেল ও কেরোসিন কিনতে ১১৪ টাকা লাগবে। এক লিটার অকটেনের জন্য দিতে হবে ১৩৫ টাকা। আর প্রতি লিটার পেট্রলের দাম হবে ১৩০ টাকা।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের নতুন এই দর জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, আজ রাত ১২টার পর থেকে নতুন এই দর কার্যকর হয়েছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে দাম হয়েছিল ৮০ টাকা লিটার। তার আগে এই দুই জ্বালানি তেলের দাম ছিল লিটারে ৬৫ টাকা।
দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিগত ছয় মাসে (ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রিতে ৮ হাজার ১৪ কোটি টাকার বেশি লোকসান দিয়েছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার পরিস্থিতির কারণে বিপিসির আমদানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে যৌক্তিক মূল্য সমন্বয় অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে অনুযায়ী জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্বিবেচনা করা হবে।
সারাবাংলা/আরডি/আইই