মীরসরাই ট্র্যাজেডি: স্কুলছাত্র তছমিরও চলে গেল
৬ আগস্ট ২০২২ ২৩:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে মাইক্রোবাসে ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় এ নিয়ে ১৩ জনের মৃত্যু হলো।
শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
মৃত তছমির হাসান পাবেল (১৬) হাটহাজারী উপজেলার কে এস নজু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। বাড়ি একই উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের খন্দকিয়া গ্রামে।
চমেক হাসপাতালে দায়িত্বরত জেলা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘তছমির হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিল। আজ (শনিবার) রাত ১০টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।’
গত ২৯ জুলাই দুপুরে মীরসরাই উপজেলার বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে রেললাইনে উঠে পড়া একটি মাইক্রোবাসকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ১১ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত ছয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাইক্রোবাসের এক আরোহী অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হন।
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত ১১ জনের সবাই মাইক্রোবাসের আরোহী ছিলেন। তাদের সবাই হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডি ইউনিয়নের খন্দকিয়া ও আশপাশের গ্রামের বাসিন্দা। এদের মধ্যে নয় জন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্র। খন্দকিয়া যুগীরহাট এলাকার আরএনজে কোচিং সেন্টারের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে চার শিক্ষক পিকনিকের উদ্দেশে মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝর্ণা এলাকায় গিয়েছিলেন।
আহতদের মধ্যে এ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু হলো। শুক্রবার চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়াতুল ইসলাম আয়াত (১৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়। আয়াতও কে এস নজু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার অধীন সীতাকুণ্ড পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে গেইটম্যানের দায়িত্বে থাকা সাদ্দাম হোসেনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৩৮ (ক), ৩০৪(ক) ও ৪২৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
দুর্ঘটনার পরপরই রেলওয়ে পুলিশ সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল। মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ৩০ জুলাই বিকেলে সাদ্দামকে আদালতে হাজিরের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। রেল কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম