Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘মধ্যরাতে জ্বালানির দাম বাড়িয়ে সর্বনাশ করেছে সরকার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ আগস্ট ২০২২ ১৭:৩৭

ঢাকা: মধ্যরাতে জ্বালানির দাম বাড়িয়ে সরকার দেশের মানুষের সর্বনাশ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অথিতির তিনি এ মন্তব্য করেন।

ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে জেলা ছাত্র দলের সভাপতি নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আবদুর রহিমের মৃত্যু এবং জ্বালানি তেল ও সারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়বে। চালের দাম, তেলের দাম, সারের দাম, যাতায়াত খরচ বাড়বে। সবকিছু বাড়বে। অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। অর্থনীতি আরও খারাপ হবে। আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে, তখন তারাও কমায়। আমাদের দেশে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম কমে তখন এখানে দাম বাড়ানো হয়।’

জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সরকার মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘সরকার যেসব তথ্য দিচ্ছে এর একটা তথ্যও সঠিক নয়। অসত্য তথ্য দিচ্ছে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। তাদের (সরকারের) তথ্যে বিভ্রান্ত না হয়ে সত্যিকার যে বিষয়টা, তা জানতে নিজেদের প্রশ্ন করুন। চালের দাম, তেলের দাম, সবজির দাম, মাছের দাম, গোশতের দাম কত বেড়েছে, তাহলে বুঝবেন দেশের অবস্থা কী।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাইক চালিয়ে যারা পরিবার চালাচ্ছেন, তারা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। চোখে অন্ধকার দেখছেন কৃষকেরাও। ডিজেলের দাম বাড়লে কীভাবে সেচের কাজ করবেন তার। এগুলোয় সরকারের কোনো কিছু যায় আসে না। কারণ, জনগণকে তাদের দরকার নেই।’

তিনি বলেন, ‘পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের দাম বাড়িয়েছে, কোথায় যাবে মানুষ? আপনাদের পকেটে বহু দুর্নীতি-ঘুষের টাকা আছে। আমাদের বেঁচে থাকার পয়সাও শেষ হয়ে যাচ্ছে।’

‘তারা (সরকার) রাজনীতি, অর্থনীতি ও আমাদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে। সুতরাং এই সরকারকে আর টিকতে দেওয়া যায় না। এ জন্য সবাই ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। আসুন নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো বিভেদ সৃষ্টি না করে সবাই ঐক্যবদ্ধ হই। ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, গণতান্ত্রিক সমাজ তৈরি করা, একটা সাম্য তৈরি করা, সেই লক্ষ্যে একসঙ্গে কাজ করি’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘১৫ বছর ধরে বেআইনি ও অযৌক্তিকভাবে শুধু রাষ্ট্রক্ষমতা ব্যবহার করে, পুলিশ ও র‍্যাব দিয়ে জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। ওই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য বহু হত্যা, খুন, গুম করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নুরে আলম ও আবদুর রহিমকে হত্যা করা হয়েছে।’

ভোলার ওসি (তদন্ত) আরমানকে অবিলম্বে গ্রেফতারের করার দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’

জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রফিকুল আলম, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, জাতীয়তাবাদী কৃষকদের সহসভাপতি মামুনুর রশিদ খান, জামাল উদ্দিন খান, নাসির হায়দার প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর