‘খালেদা জিয়ার মুক্তি আর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন একসূত্রে গাঁথা’
২৩ এপ্রিল ২০১৮ ১৬:১৮
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি এবং আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একইসূত্রে গাঁথা। তার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্ত হবে না, গণতন্ত্র মুক্ত না হলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে না। আর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না।
সোমবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। আওয়ামী লীগ ভেবেছিল বেগম জিয়াকে কারাগারে নিলে আমরা নির্বাচনের কথা ভুলে যাব। আমরা পরিষ্কার করতে বলতে চাই, গণতন্ত্র এবং অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় নির্বাচন সবকিছুর সঙ্গে খালেদা জিয়া একসূত্রে গাঁথা। সেজন্য খালেদা জিয়াকে মুক্ত করাই হবে আমাদের প্রধান শপথ।
তিনি বলেন, আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন করে এদেশে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করব। সংসদ ভাঙার বিধান করব। সেনাবাহিনীকে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেব। এরপর নির্বাচন হবে।
খন্দকার মোশাররফ আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তিনি ভয়ে ভীত। কমনওয়েলথ নেতাদের সামনে তাকে লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশিরা যেভাবে প্রতিরোধ করেছে, কালো পতাকা দেখিয়েছে তাতে উনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কমনওয়েলথ নেতারাও বলেছেন, আপনি স্বৈরাচার। আপনি দেশের মানুষকে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছেন না। জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছেন। তিনি কোনো জবাব দিতে পারেননি। এজন্য লন্ডনে বসে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান সম্পর্কে আবোলতাবোল বক্তব্য দিচ্ছেন।
মোশাররফ সরকারের উদ্দেশে বলেন, আর একদিনও কালবিলম্ব না করে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে খালেদা জিয়াকে উন্নত ও উপযুক্ত চিকিৎসা দিন।
একই সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচন সম্পর্কে কোনো কথা হবে না। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। গণতন্ত্র মুক্ত করব। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হবে। আইনের শাসন আসবে। তারপর নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যেতে বিএনপির কোনো প্রস্তুতির দরকার হয় না। বিএনপি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। যেকোনো সময় বিএনপি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত। কিন্তু খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে। এছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মীর মো. নাছির উদ্দিন বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের সঙ্গে সরকারের পতনের আন্দোলনও জোরদার করতে হবে। এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে সরকার যেন পালানোর পথ খুঁজে না পায়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম বলেন, খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে নির্বাচনে যাবার কথা আমরা ভাবতেও পারি না। এই মুহূর্তে আমরা আর কিছু ভাবতে চায় না। আমরা চায় শুধু আন্দোলন আন্দোলন আর আন্দোলন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, প্রয়োজনে চট্টগ্রাম থেকে লাখো নেতা-কর্মী নিয়ে ঢাকায় যাব। নাজিমউদ্দিন রোডে জেলখানা ঘেরাও করে বেগম জিয়াকে মুক্ত করব।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের জন্য চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত আছেন।
নগরীর কাজীর দেউড়িতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিমউদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জালালউদ্দিন মজুমদার ও হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।
সারাবাংলা/আরডি/এটি
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook
আন্দোলন আমির খসরু খন্দকার মোশাররফ খালেদা খালেদা জিয়া চট্টগ্রাম বিএনপি তারেক রহমান বিএনপি বিএনপি চেয়ারপারসন