অসময়ে পর্যটকের ঢল কক্সবাজারে
৭ আগস্ট ২০২২ ১৯:৪০
কক্সবাজার: ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে আগ্রহের জায়গা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। তাই মৌসুমে সব সময় পর্যটকের ভিড় থাকে এই সৈকতে। কিন্তু সম্প্রতি মৌসুম ছাড়াই পর্যটকের ঢল দেখা গেছে। এদিকে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা।
পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কক্সবাজারে সাধারণত অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত পর্যটন মৌসুম। ওই সময়ে পর্যটকের ভিড় লক্ষণীয়। কিন্তু সম্প্রতিক সময়ে মৌসুম ছাড়াই পর্যটকের ঢল নেমেছে সমুদ্র সৈকতে।
সৈকতের লাবনী, সুগন্দা, দরিয়া নগর, হিমছড়ি, পাটুয়ার টেক, ইনানী, মহেশখালীর সোনাদিয়া, আদিনাথ মন্দিরসহ দর্শনীয় স্থানগুলোতে পর্যটকের ভিড় রয়েছে। তারা সমুদ্রের গাঁ ভাসানো এবং ভ্রমণের মধ্য দিয়ে মেতে উঠেছেন আনন্দে।
ঢাকা থেকে বন্ধুসহ কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন রায়হান চৌধুরী। তিনি জানান, সময় পেলেই কক্সবাজার ছুটে আসা হয়। এই বিশাল সমুদ্রের সৌন্দর্য্যের টান সামলানো যায় না। একদিনের পরিকল্পনাতেই পর্যটন নগরীতে ছুটে আসা।
হানিমুনে আসা নব দম্পতি চৈতী আর ইকবাল হোসেন বলেন, আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল বিয়ের পর কক্সবাজার হানিমুনে আসব। সেই অনুযায়ী ঘুরতে আসা। এখানে এসে বিয়ের আনন্দ আরও বেশি পূর্ণতা পেয়েছে। শীত মৌসুমে আবারও আসতে চাই।
সাইফুল ইসলাম নামে আরেক পর্যটক জানান, পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন। নানা গুজবের কারণে একটু চিন্তিত থাকলেও সশরীরে এসে নিরাপত্তার দৃশ্য দেখে সন্তুষ্ট তিনি।
পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতের প্রসঙ্গে টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘অসময়ে ৬০ থেকে ৭০ হাজার পর্যটক এসেছে কক্সবাজারে। এটি পর্যটন নগরীর জন্য ভালো দিক। আগত পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সমুদ্রের পাড়ে পর্যটকদের ভ্রমণের সুবিধার জন্য হকার মুক্ত করা হয়েছে। ভিক্ষুক, মেসেজ পার্টিসহ চা-কপি বিক্রির নামে পর্যটকদের বিরক্ত করা লোকজনকে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এসব বাস্তবায়নে টুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।’
কক্সবাজারের প্রায় ৫০০ হোটেল-মোটেল ও কটেজে ৪ লাখের বেশি পর্যটক ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। সকলের প্রত্যাশা পর্যটকদের যথাযথ সেবা ও নিরাপদ ভ্রমণ।
সারাবাংলা/এনএস