বনভোজনের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
৮ আগস্ট ২০২২ ১৯:৫৮
গাজীপুর: ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের মার্চ মাসে কুমিল্লার কোটবাড়ি ও ময়নামতি জাদুঘরে বার্ষিক বনভোজনে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নির্ধারিত ফি উত্তোলন করা হয়েছিল। তবে দুই বছরেও বনভোজনে না যেতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পুবাইল থানাধীন ৪০নং ওয়ার্ডের মাজুখান এলাকায় একটিভ প্রি-ক্যাডেট হাই স্কুলের বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে এমন অভিযোগ।
জানা গেছে, একটিভ প্রি-ক্যাডেট হাই স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চারশো। ২০২০ সালে বনভোজনে যেতে ইচ্ছুক এমন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা করে ফি উত্তোলন করা হয় এবং ফি পরিশোধের পরপরই শিক্ষার্থীদের হাতে বনভোজনে যাওয়ার জন্য দেওয়া হয় টোকেন। পরবর্তীতে করোনায় পর্যটন কেন্দ্র বন্ধের অজুহাত দেখিয়ে চলে যায় দুই বছর। কিন্তু এখনও শিক্ষার্থীদের বনভোজনে নেওয়া হয়নি। এমনকি ফেরত দেওয়া হয়নি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বনভোজনের নামে উত্তোলন করা ফি।
‘একটিভ প্রি-ক্যাডেট হাই স্কুলে’র এসএসসি পরীক্ষার্থী ইমন রহমান জানান, গত দুই বছর আগে পিকনিকে যাওয়ার জন্য স্কুলে টাকা জমা দিয়েছি। এখনও তারা পিকনিকেও নেয়নি, টাকাও ফেরত দেয়নি। পিকনিকের বিষয়ে স্যারদের কিছু বললে তারা জবাব দেয় না। পিকনিকে না নিলে আমাদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক।
একটিভ প্রি-ক্যাডেট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সজল হোসেন শিকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে যোগদান করেছি। আমি বনভোজনের বিষয়ে কিছুই জানতাম না। পরবর্তীতে অভিযোগ শুনে কয়েকজন শিক্ষার্থীর টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। বাকিদেরও দেওয়া হবে। তবে ফান্ডে টাকা না থাকায় একটু বিলম্ব হচ্ছে।’
গাজীপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা সারাবাংলাকে বলেন, ‘একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে এমন কার্যকলাপ আশা করা যায় না। আমরা সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করছি যেন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মবহির্ভূত কোনো কাজ করতে না পারে। আমি ঘটনাটি শুনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এমও