Wednesday 11 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৮ আগস্ট ২০২২ ২০:৪৮

ঢাকা: সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অথিতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত ৩১ জুলাই ভোলা পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুর রহিম ও ছাত্র দলের নুরে আলমের মৃত্যু এবং জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল এ সমাবেশ আয়োজন করে। বিকেলে শুরু হয়ে সমাবেশটি শেষ হয় সন্ধ্যায়। রাজধানীর বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এই সমাবেশে অংশ নেয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই যুব সমাবেশে জনসমাগমের মধ্য দিয়ে এটা প্রমাণ হয়েছে যে, তাদের (সরকার) দিন ফুরিয়ে এসেছে, তাদের পক্ষে আর ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না। বাংলাদেশে যুব সমাজ জেগে উঠেছে। আমরা বিশ্বাস করি আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে, দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ দেশকে তারা আবার মুক্ত করবে।’

তিনি বলেন, ‘এই সরকার টিকে আছে মানুষকে প্রতারণা করে। জ্বালানি সংকট, অর্থনৈতিক সংকট, বিদ্যুতের লোডশেডিং— সবকিছুর মূলে এই সরকারের দুর্নীতি। আপনারা দেখেছেন যে, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে তারা কীভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে এবং তাদের নিজের লোকদের মুনাফা পাইয়ে দিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বরেন, ‘এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর যে হিসাব সেই হিসাব অনুযায়ী গত সাত বছরে এদেশ থেকে রফতানি হয়েছে ২৭০ দশমিক ৮১ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব আছে ২৩৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। বাকি ৩০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার কোথায় গেল? জাতি এটা জানতে চায়। এটা একটা বিরাট শুভঙ্করেরে ফাঁকি, বিরাট একটা লুটের চিত্র। লুট ও চুরি করে তারা এদেশকে ফোকলা করে দিয়েছে।’

মিছিল-হরতাল-অবরোধে যেতে হবে উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র। যদি বিএনপি শক্তভাবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে যায় এই সরকার এক মিনিট ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না। আমাদের সকলে রাজপথে থাকতে হবে। আমাদের সীমানা আটকিয়ে গেছে, প্রেসক্লাব-বিএনপি অফিস। এর বাইরে যদি আমরা না যেতে পারি তাহলে কখনই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না।’

‘আমাদের এর বাইরে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের মিছিলে নামতে হবে, হরতালে যেতে হবে, অবরোধে যেতে হবে- তাহলে সরকারের পতন ঘটবে। নইলে এই সরকারের পতন ঘটবে না’— বলেন মির্জা আব্বাস।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কর্মসূচিতে আমরা যদি হার্ড লাইনে না যাই এবং সরকারকে আমরা আমাদের শক্তি প্রদর্শন না করি তাহলে সরকার তাদের জায়গায় থাকবে আর আমরা জনসভা করব, অগণিত মামলায় জর্জরিত হব। কিন্তু সরকার পতন ঘটাতে পারব না।’

যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নার পরিচালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, সাইফুল আলম নিরব, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, ইশরাক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, কৃষক দলের শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবন, যুব দলের মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়ন, কামরুজ্জামান দুলাল, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, গোলাম মওলা শাহিন, ইসাহাক সরকার প্রমুখ।

কর্মসূচি

মির্জা ফখরুল জানান, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোড শেডিং এবং সকল পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি ১১ আগস্ট ঢাকায় নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় প্রতিবাদ সমাবেশ করবে এবং ১২ আগস্ট সারাদেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদে সমাবেশ হবে।

‘এরপরে আমরা আরও বৃহত্তর কর্মসূচির দিকে এগিয়ে যাব এবং এই ভয়াবহ দানবীয় সরকারের পতন তরান্ব্তি করব’— বলেন মির্জা ফখরুল।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুবদল


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর