Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা সেলিম প্রধানের রুশ স্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২২ ১৩:০৭

ঢাকা: অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সেলিম প্রধানের মুক্তি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার রাশিয়ান স্ত্রী আনা প্রধান। গত ১৩ দিন ধরে স্বামীর মুক্তির জন্য বাংলাদেশে অবস্থান করছেন তিনি।

বুধবার (১০ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে অবৈধ সম্পদ ও মানিলন্ডারিং আইনের মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্ত এদিন আদালতে কোনো সাক্ষী উপস্থিত হননি। এজন্য আদালত পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১৭ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন।

এদিন সেলিম প্রধানকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতে আসেন সেলিম প্রধানের স্ত্রী আনা প্রধানও। বেলা ১১টার দিকে সাক্ষী না আসায় সেলিম প্রধানকে আদালতের এজলাস থেকে মহানগরের হাজতখানায় নেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে সেলিম প্রধানের স্ত্রী আনা প্রধান বলেন, আমি আমার স্বামী জন্য আইনি লড়াই করে যাব। স্বামী ও পরিবারকে মুক্তি করার জন্য লড়াই করে যাব। মামলাটি সাজানো বানাবো। এই সাজানো মামলা থেকে অব্যাহতির জন্য সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে অনেক খারাপ সময় পার করছি। করোনাভাইরাস ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে আসতে দেরি হয়েছে। আমি আমার স্বামীর মুক্তি চাইছি।

সেলিম প্রধানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম বলেন, আশা করি, সেলিম প্রধান ন্যায় বিচার পাবেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, রাশিয়ার স্ত্রী আদালতে আসলেই যে মুক্তি পাবে এমন কিন্তু নয়। এর আগে অনেক মামলায় অনেকেই বাইরের দেশ থেকে আদালতে এসেছেন। তেমন কোনো লাভ হয়নি। আশা করি, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেলিম প্রধান ন্যায় বিচার পাবেন।

মামলাটিতে মোট ৩৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। মামলায় তার বিরুদ্ধে ১২ কোটি ২৭ লাখ ৯৫ হাজার ৭৫৪ টাকা অবৈধভাবে অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

তবে চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান। চার্জশিটে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকার জ্ঞাতআয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও ইউএসএতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আটক করে র‌্যাব-১। এরপর তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নগদ ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে হরিণের চামড়া পাওয়া যাওয়ায় ওইদিনই সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান।

ওই ঘটনায় গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও মানিলন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। ওই মামলাগুলোয় তাকে কয়েকদফা রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর তার বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে।

সারাবাংলা/এআই/এএম


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর