সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নে ৩০ কোটির প্রকল্প

ঢাকা: নিজস্ব অর্থায়নে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও সিটি বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নের কাজ আরম্ভ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ডিএসসিসি। এই প্রকল্পে ৩০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে সায়েদাবাদে অবস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কেন্দ্রীয় মোটর গ্যারেজ এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের চলমান সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম বেগবান করতে ও গণপরিবহনকে শৃঙ্খলায় আনতে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।’

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আপনারা অবগত আছেন, আমরা বাস রুট রেশনালাইজেশন কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে শুরু করেছি। আমাদের একটি যাত্রাপথ শুরু হয়েছে। আরও তিনটি যাত্রাপথ ইনশাআল্লাহ আগামী ১ সেপ্টেম্বর আমরা উদ্বোধন করব। সে সব কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য নিজ অর্থায়নে আমরা আমাদের সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা ও সিটি বাস টার্মিনালের আধুনিকায়নের কাজ আরম্ভ করেছি। ৩০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে আমরা এ কার্যক্রম নিয়েছি।’

আগামী মার্চের মধ্যে চলমান কাজ শেষ করার আশাবাদ জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালটি অনেকদিন আগে নির্মাণ হওয়ার পরে কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। এখানে জলাবদ্ধতাসহ অবকাঠামোগুলো অত্যন্ত ভঙ্গুর অবস্থায় ছিল। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালকে অত্যন্ত কার্যকর, আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় টার্মিনাল হিসেবে পরিচালিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এখানে আলাদাভাবে বাস রাখার জায়গা, শ্রমিকদের বিশ্রামের জায়গা, ও শৌচাগার করা হচ্ছে। এ ছাড়া যাত্রীরা যেন ভেতরে প্রবেশ করে সেবা নিতে পারেন, সে রকম করে আমরা এই পুরো সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি।’

এ সময় বাস রুট রেশনালাইজেশনের আওতায় দক্ষিণ সিটি কর্তৃক ২টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ সম্পর্কে বর্ণনা করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘দুটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একটি কাঁচপুরে, অন্যটি কেরাণীগঞ্জের কাছাকাছি। এর মধ্যে একটির জমি অধিগ্রহণ হয়েছে, আমরা হস্তান্তর চেয়েছি। আরেকটি জমির অধিগ্রহণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এগুলো নির্মাণ হতে আরও ৩-৪ বছর লেগে যাবে। এর মধ্যে বাসগুলো যেন সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্যই আমরা বাস টার্মিনাল সংস্কারের কাজ হাতে নিয়েছি।’

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘কিছু পথ টার্মিনালের কাছে এসে সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তাই আমরা নিচের রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্ত করার কাজ হাতে নিয়েছি। টার্মিনালের ভেতর দিয়ে উড়াল সেতুতে প্রবেশের পথ রয়েছে, কিন্তু সেগুলো কার্যকর নয়। সে জন্য আমরা নতুন করে এটি কার্যকর করতে পরিকল্পনা করেছি।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র তাপস বলেন, ‘পোস্টার, বিভিন্ন ধরনের রঙ দিয়ে লিখে আমাদের অবকাঠামোগুলোকে আচ্ছাদন করা হয়। এখানে জনগণের সচেতনতাই মুখ্য। আমরা আশা করব, তারা এগুলো থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে আমাদের আইন রয়েছে, কিন্তু আমরা প্রয়োগ করি না।’

ডিএসসিসি মেয়র জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২২ উপলক্ষে এদিন ধানমন্ডি হ্রদে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কালিবাউস প্রজাতির ৩০০ কেজি পোনা অবমুক্ত করেন।

এ সময় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক, করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, পরিবহন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/আরএফ/একে

ডিএসসিসি মেয়র ফজলে নূর তাপস বাস-টার্মিনাল সায়েদাবাদ