Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ক্লাসরুমে যাওয়া হলো না শ্রাবণের, স্কুল গেটেই জীবনাবসান

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১০ আগস্ট ২০২২ ১৮:৩৮

খাগড়াছড়ি: জেলা শহরের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট ভেঙে পড়ে এক শিশু শিক্ষার্থীর মর্মান্তিকভাবে নিহত হয়েছে। বুধবার (১০ আগস্ট) শহরের স্বনির্ভর এলাকার খবং পড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, নিমার্ণের বছর না পেরুতেই বিদ্যালয়ের গেটটি ভেঙে পড়ল। আর এতে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নির্মাণ কাজের ত্রুটিকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যালয়টির ভবন ও গেটটি নির্মাণ করেছিল স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।

বিজ্ঞাপন

খবং পড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক প্রাথমিকের শিক্ষার্থী শ্রাবণ দেওয়ান। পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান সে। পিতা প্রণয় দেওয়ান পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। খাগড়াছড়ি পৌর শহরের নারানখাইয়া এলাকার বাসিন্দা তারা।

এদিকে ঘটনার পরপরই বিদ্যালয়ে ছুটে যান পুলিশ ও শিক্ষা কর্মকর্তারা। খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য দিনের মতো আজ সকালেও মায়ের হাত ধরে বিদ্যালয়ে এসেছিল শ্রাবণ। তবে আজ আর শ্রেণিকক্ষে যাওয়া হলো না তার। বিদ্যালয়ে প্রবেশ করার আগেই গেট ভেঙে পড়ে শিশু শ্রাবণের ওপর। কয়েক মণ ওজনের লোহার গেটটির নিচে চাপা পড়ে সে। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পায় শিশুটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মারা গেছে শ্রাবণ।’

শিশুটিকে উদ্ধারকারী আবু তাহের বলেন, ‘হঠাৎ চিৎকারে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি কোমলমতি শিশুটি কাঁতরাচ্ছে। চোখের জল সামলাতে পারি না। আমার সামনেই শিশুটি নিথর হয়ে গেল।’

এমন দুর্ঘটনায় বিদ্যালয় জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। সহপাঠী ও স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। নিহত শিশুর পিতা প্রণয় দেওয়ান বলেন, ‘নিমার্ণের বছর না পেরুতেই গেট ধসে পড়ে আমার সন্তানের এমন অকাল মৃত্যু মানা যায় না।’ আর এর জন্য নিম্নমানের নির্মাণ কাজকে দায়ী করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বিদ্যালয়টির ভবন ও গেট নির্মাণকারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তারা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

খাগড়াছড়ি সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। সুরতহাল রির্পোট শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে পরিবারের কাছে।’

সারাবাংলা/পিটিএম

জীবনাবসান ভেঙে শ্রাবণ স্কুলগেট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর