১টি সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
১১ আগস্ট ২০২২ ০৮:৪৩
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ওমরপুরে পাগলা নদীর ঘাটের দুই পারে সংযোগ সড়ক থাকলেও নেই সেতু। ফলে ওই ইউনিয়নের ১ ও ২নং ওয়ার্ডসহ ১০ গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার লোক দীর্ঘদিন ধরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পারাপার করছেন। এ কারণে অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেওয়া, চাষাবাদ ও কৃষিপণ্য পরিবহনে অনেক সমস্যা হয়। আর ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এ পরিস্থিতিতে করে এ সমস্যার সমাধান হবে সেটাই প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভবানীপুর মাদরাসা, হাজী মমতাজ আলী ডিগ্রি কলেজ, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ, পোস্ট অফিস, ভূমি অফিস, চামার হাটসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে শ্যামপুর ইউনিয়নে। এছাড়াও সবজি চাষ ও আমের বাগান রয়েছে এসব গ্রামে। কিন্তু সেতু না থাকার করণে অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ।
ভুক্তভোগীরা জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে মালামাল বহন করা যায় না। গাড়ি চলাচলের সুবিধা না থাকায় দ্বিগুণ মজুরি দিয়ে মালামাল পারাপার করতে হয়। তাতে সময় যেমন বেশি লাগে, লাভও হয় কম। আমসহ সব ধরনের ফসল ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে অনেক ক্ষতি হয়। এ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের যাওয়ার পারাপারের একমাত্র পথ হলো বাঁশের সাঁকো। বর্ষা এলে তা যেন শিক্ষার্থীদের জন্য মরণফাঁদ। অনেক কষ্টে তাদের কাঁদা ও বাঁশের সাঁকো পার হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।
কয়েশ শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে ভবানীপুর মাদরাসা, হাজী মমতাজ আলী ডিগ্রি কলেজে আসা যাওয়া করে থাকেন। সেতুটি নির্মিত হলে এলাকার শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা খুবই উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ওমরপুর ঘাটে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে শ্যামপুর ইউনিয়ন ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডসহ দশটি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। শুধু একটি সেতুর কারণে এপারের জমিতে চাষাবাদে অনেক অসুবিধা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার দাবি দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’
শ্যামপুর ইউনিয়নের ওমরপুর ঘাটের দ্রুত একটি সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১) ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল বলেন, ‘জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (একনেক) পাশ হলেই সেতুর কাজ শুরু হবে।’
সারাবাংলা/এনএস