‘সরকার হটাতে স্কুল-কলেজে সংগ্রাম পরিষদ গঠন করতে হবে’
১১ আগস্ট ২০২২ ১৪:১৬
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট ডাকাত, চোর এবং লুটেরা আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে স্কুল-কলেজ ও পাড়ায়-মহল্লায় সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তুলতে হবে। সরকার বলছে তারা ক্ষমতা ছাড়বে না আমরাও আন্দোলন করতে গিয়ে মরলেও আন্দোলন ছাড়ব না।’
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন। এ সময় ফ্যাসিবাদী হটাতে এবং জ্বালানি তেলের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী পরিষদের নেতা শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাসদের সহ-সভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কাউসার, গণসঙ্গতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, রাষ্ট্র সংস্কারের সাংগঠনিক সমন্বয়ক ইমরান ইমন।
আব্দুর রব আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ফ্যাসিবাদী ভোট ডাকাত স্বৈরাচার ও লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে। এই সরকার রাষ্ট্রদ্রোহী। পরিস্থিতি দেখে মনে হয় দেশের কোনো সরকার নেই। সরকার সিন্ডিকেটের কাছে গৃহবন্দী।’
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর গণতন্ত্র ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশ শ্রীলংকার মতো হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এক কথায় বাংলাদেশ এখন ডাকাতের খপ্পরে। দেশকে রক্ষার জন্য আজ গণতন্ত্র মঞ্চ হয়েছে। গণতন্ত্র মঞ্চ দেখে সরকারের হাঁটু কাঁপা শুরু হয়েছে। এজন্য সরকারের এমপি ও মন্ত্রীরা আবোল তাবোল বকছেন।’
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বায়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই সরকার যেমন ভোট চোর তেমন জনগণের শত্রু। জনগণের প্রতি সরকার কোনো দায়বদ্ধতা নেই। না থাকারই কারণ যেহেতু তারা রাতের অন্ধকারে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী ও এমপিদের কথায় মনে হচ্ছে গণতন্ত্র মঞ্চ দেখে তাদের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। এজন্য তারা আবোল-তাবোল বকে যাচ্ছে। আমাদের স্পষ্ট কথা- এই অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া হবে না।’
গণধিকার পরিষদের নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর দলীয় নেতাকর্মী এবং জনগণকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘গণভবন ও বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হবে। আপনারা প্রস্তুত থাকুন।’
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেস ক্লাব সামনে থেকে শুরু হয়ে জিরো পয়েন্ট গুড়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস