‘বুস্টার ডোজ গ্রহণে এগিয়ে পুরুষেরা’
১১ আগস্ট ২০২২ ২৩:৪০
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শেষে দেওয়া হচ্ছে তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণে প্রায় সমান-সমান অবস্থানে থাকলেও বুস্টার ডোজ গ্রহণে তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে আছে নারীরা। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পরে নারীদের অনেকেই বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘প্রাথমিকের দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভ্যাকসিন দিতে হবে। এই শিশুদের জন্য আমাদের প্রায় ৪ কোটি ৪০ লাখ ভ্যাকসিন লাগবে। আমরা ইতোমধ্যে ৩০ লাখের মতো ভ্যাকসিন হাতে পেয়েছি। বাকি ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আমাদেরকে দেবে বলে নিশ্চিত করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ভ্যাকসিন শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা খুবই নিরাপদ। ইউএসএ-তে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর অনুমোদন দিয়েছে। যেই ভ্যাকসিন এসেছে, সেগুলো দুই মাসের ব্যবধানে দিতে হবে। ২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে দেওয়া শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনায় শিশুদের ঝুঁকি কম। শিশুরা এমনিতেই করোনা থেকে নিরাপদ ছিল। এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার লোক মারা গেছেন, যার মধ্যে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বেই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই তালিকায় যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর ৫ থেকে ১১ বছরের কাউকে মারা যেতে এখনও শোনা যায়নি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনায় আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছি। সারাবিশ্ব আমাদের প্রশংসা করছে। অনেক দেশ এখনও ১০/১৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশ ভ্যাকসিন দিয়ে মানুষকে সুরক্ষায় নিয়ে এসেছে। মৃত্যুও শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একদিনে এক কোটি বিশ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছি। ভ্যাকসিনে আমাদের সক্ষমতা আছে। বিশ্ববাসী জানে আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারি।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই একটা চেইন মেইনটেইন করে ভ্যাকসিন দিয়েছি। আমরা ঝুঁকি বিবেচনায় পঞ্চাশোর্ধ্বদের আগে ভ্যাকসিন দিয়েছি। ফ্রন্টলাইনারদেরও আগে দিয়েছি। সবশেষে এখন শিশুদের ভ্যাকসিন পেয়েছি, তাই কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।’
বক্তব্য শেষে মন্ত্রী শিশুদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বাংলাদেশের যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রাজেন্দ্র বোহরা, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটসহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম