Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ডিম ৫০ ব্রয়লার ২০০ কাঁচা মরিচ ৩২০ টাকা, সব দোষ তেলের ঘাড়ে

উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১২ আগস্ট ২০২২ ১৮:২৫

ঢাকা: জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে বাজারে। ফলে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। বাজার পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ভয়াবহ অবস্থায়। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে আগুন, কোনো কিছুই কেনার মতো অবস্থায় নেয়।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, সূত্রাপুর, শান্তিনগর, মতিঝিল, কাপ্তান বাজার, কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন এই প্রতিবেদক। শুধু ক্রেতা নয়, বিক্রেতারাও জানান তাদের আক্ষেপের কথা।

বিজ্ঞাপন

মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেটে বাজার করতে আসেন নাদিয়া রহমান। তিনি বলেন, ‘ব্রয়লার মুরগির দাম ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। অথচ গতকালও ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। গরুর মাংস ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। একটা জিনিসই পরিবারের সদস্যরা মিলে খেতে পারতাম। ব্রয়লার মুরগির মাংসটাও এখন আর ঠিকমতো খাওয়া সম্ভব নয়। আর মাছে তো হাত দেওয়ার উপায় নেই। ডিমের দাম গত মাসেও হালি ৪০ টাকার নিচে ছিল। আজ ডিম কিনলাম ৫০ টাকা হালি।’

রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে ইউনুস আলী কাঁচা মরিচ কিনেছেন ৩২০ টাকা কেজিতে। এক সপ্তাহ আগে করলা কিনেছেন ৪০ টাকায় আর তেলের দাম বাড়ায় আজ করলা কিনতে হলো ৬০ টাকায়। অন্যান্য সবজির দামও অনেক বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, তেলের দাম অনেক বাড়িয়েছে সরকার কাজেই সবকিছুতেই দাম খেয়ে নিচ্ছে গাড়িভাড়া।

শুক্রবার রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে। সূত্রাপুর বাজারে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। কাপ্তান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা, শান্তিনগরে ২১০ টাকা, মোহাম্মদপুরে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা কেজি। ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হালিতে। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। কেউ ১০ বা ২০ টাকার মরিচ চাইলে সাধারণ তো তা দেওয়া হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

বাজারগুলোতে ছোট মাছের আকাল দেখা দিয়েছে। বড় মাছে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত। ইলিশের দাম ভরা মৌসুমেও অনেক বেশি। ৭০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি। সামুদ্রিক কিছু মাছ আছে যেগুলোর দাম নাগালের মধ্যে। সাধারণ মানুষ তাই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার নিম্ন আয়ের মানুষ মুরগির চামড়া-পাসহ উচ্ছিষ্ট অংশ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

যাত্রাবাড়ী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, ‘বাজারে সরবরাহ ঠিকই ছিল কিন্তু হঠাৎ করে তেলের দাম বাড়ায় সব ওলোটপালোট হয়ে গেছে। বাড়তি দাম তো ক্রেতার ওপরই বর্তায় সব সময়। কেউ তো আর লস করবে না। এক গাড়ি সবজি আনতে আগে যে টাকা লাগত, তার চেয়ে এখন প্রায় দ্বিগুণ লাগছে। কাজেই সবজির দাম বাড়ছে। শুধু সবজি কেন মাছ মাংস অন্যান্য দ্রব্যাদিও তো গাড়িতেই আনতে হচ্ছে। আনতে তো তেল খরচ লাগছে। আর তেলের দাম তো অনেক বেশি।’

সারাবাংলা/ইউজে/একে

কাঁচাবাজার তেলের দাম বাজারদর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর