এখনো পথ দেখান বঙ্গবন্ধু
১৪ আগস্ট ২০২২ ২০:০০
সম্ভাবনাকে হত্যা করা
’৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জাতিকে সুদীর্ঘসময় ধরে একটি দুর্বিষহ পরিস্থিতি অতিক্রম করতে হয়েছে। সমাজ ও জাতীয় জীবন থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ ছিল নির্বাসিত। বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও করা যেত না। দমন-পীড়নের মাধ্যমে এমন একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির তৈরি করা হয়েছিল যাতে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে কেউ সাহস না পায়।
সেই সময় এদেশে জাতীয় শোক দিবসও পালন করা যেতো না কিংবা করতে দেওয়া হতো না। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কোনো আয়োজন যেন হতে না পারে, সেজন্য আগের রাতে দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে আটকে রাখা হতো। আমাদের ছাত্রজীবনেও আমরা দেখেছি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় শোক দিবস পালন করতে বাধা দেওয়া হতো। অনেক জায়গায় শোক র্যালি কিংবা মিছিলের উপর হামলা করা হতো। এমনকি মিলাদ, দোয়া-মাহফিলও করতে দেওয়া হতো না।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে যখন পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে, মুক্তির আনন্দে বাঙালির বিজয় উল্লাসে যখন কেঁপে ওঠছিল আকাশ-বাতাস, তখন কি কেউ ভাবতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধুর এই বাংলাদেশে একদিন বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দেওয়া হবে না?
১৯৭২ সালের ১০ ডিসেম্বর যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে এসেছিলেন প্রিয় স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে, জাতির পিতাকে বরণ করে নিতে আসা লাখ লাখ মানুষের আনন্দাশ্রুতে ভেসে যাচ্ছিল ঢাকার রাজপথ, তখন কি কেউ দুঃস্বপ্নেও কল্পনা করতে পেরেছিল স্বাধীন স্বদেশের মাটিতে সপরিবারে প্রাণ হারাতে হবে জাতির পিতাকে?
কেউ হয়তো ভাবেনি। ভাবার কথাও নয়। তারপরও সেই দুঃখজনক, কলংকময় ঘটনাটি ঘটেছে। যে কাজটি করার দুঃসাহস পাকিস্তানিরাও দেখায়নি, কিংবা করতে পারেনি, সেই কাজটিই হয়েছে স্বাধীন দেশের মাটিতে। যে বাংলার মানুষের প্রতি ছিল বঙ্গবন্ধুর এত ভালোবাসা, এত বিশ্বাস, এত আস্থা- সেই বাংলার মানুষের ভেতরেই ঘাপটি মেরেছিল ঘাতকেরা। সময় সুযোগ বুঝে বেরিয়ে আসে ঘাতকের দল, সপরিবারে হত্যা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।
১৫ আগস্টের শোকাবহ ঘটনা এবং তার পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহই আজকে বলে দেয় যে কেন সক্রিয় ঘাতকরা এবং পিছনের রাজনৈতিক সুবিধাভোগী ক্রীড়নকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে মরিয়া উঠেছিল। তারা বুঝতে পেরেছিল, যে মানুষটি একটি দেশের সমার্থক হয়ে ওঠতে পারে, যে মানুষটি একটি দেশের মুক্তির প্রতীক হয়ে ওঠতে পারে, যে মানুষটি একটি জাতিকে জাগাতে পারে, সেই মানুষটি যতক্ষণ বেঁচে থাকবে ততক্ষণ তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। আর ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল একটি- একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে সদ্য স্বাধীন দেশের সকল সম্ভাবনাকে হত্যা করা।
উল্টোপথে যাত্রা এবং একটি বিভ্রান্ত কিংবা ঝরে যাওয়া প্রজন্ম
এটি তো দিবালোকের মতোই সুস্পষ্ট যে নিছক ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় নাই। একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়েই তারা এগিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ যেন পথ ভুলে উল্টোপথে হাঁটতে শুরু করেছিল। সেই উল্টোপথের যাত্রাকে নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর পর্যায়ক্রমে যে কাজগুলো তারা করেছিল:
১. বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করতে ইনডেমনিটি আইন পাশ করা হয়।
২. বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পুরস্কৃত করা হয়।
৩. রাষ্ট্র ও সমাজজীবন থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
৪. মুক্তিযুদ্ধের মৌলচেতনাকে বাদ দিয়ে আমাদের পবিত্র সংবিধানকে পদদলিত করা হয়।
৫. ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে নস্যাৎ করতে সংবিধানে পরিবর্তন ঘটিয়ে ধর্মীয় রাজনীতির সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়।
৬. নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও দেশবিমুখ করতে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে বিতর্কিত করা হয়। পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও বিকৃত ইতিহাস পড়ানো হয়।
৭. রেডিও-টিভিতে ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়।
৮. বাঙালি-বাংলাদেশী, স্বাধীনতার ঘোষণা, ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিতর্ক তৈরি করে জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত করা হয়।
৯. একাত্তরে ঘাতক-দালাল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পথকে রুদ্ধ করতে দালাল আইন বাতিল করা হয় এবং দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
১০. চিহ্নিত রাজাকারদের উপপ্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বানিয়ে ক্ষমতার অংশীদার বানানো হয়।
১১. বিদেশে পলাতক একাত্তরের নরঘাতক গোলাম আযমকে বাংলাদেশে আসার এবং রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে।
১২. মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার সেনাসদস্যকে হত্যা করা হয়।
১৩. পাকিস্তানি শিল্পীদের বাংলাদেশে এনে পাকি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটনার মাধ্যমে বাঙালি সংস্কৃতির মূলে আঘাত করার চেষ্টা করা হয়।
দীর্ঘসময় ধরে এই রকম একটি দুর্বিসহ পরিবেশের মধ্যে বেড়ে ওঠে একটি প্রজন্ম। এই প্রজন্মকে বলা যায় একটি বিভ্রান্ত কিংবা ঝরে যাওয়া প্রজন্ম। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রজন্ম তৈরি করা হয়। এরা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি। এরা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গর্ব করতেও শিখেনি। কারণ এদের বেশিরভাগই বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতো না, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতো না, ইতিহাস সম্পর্কে জানতো না, ১৫ আগস্ট সম্পর্কে জানতো না। জানতো না শুধু নয়, তাদের জানার কোনো আগ্রহও ছিল না। এই দেশে কিছু হবে না, এই দেশের কোনো ভবিষ্যত নাই, এই দেশে জন্মানোটাই তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ…দেশ নিয়ে তাদের মধ্যে এই রকম হীনমন্যতা কাজ করতো। এতবড় একটি মুক্তিযুদ্ধ সেটি নিয়েও তাদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণা কাজ করতো। বাঙালির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো, তাতেও তাদের কোনো বিকার ছিল না। জাতীয় শোক দিবস নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো আবেগ কাজ করতো না। এমনকি তাদের নিজেদের নিয়েও তাদের মধ্যে কোনো স্বপ্ন ছিল না। অস্ত্রের ঝনঝনানি, অবৈধ অর্থ আর অবাধ মাদকের থাবায় বুদ হয়ে থাকতো প্রজন্ম। কেন এভাবে একটি প্রজন্ম ঝরে গেল? কেন এভাবে একটি প্রজন্ম বিভ্রান্ত হলো?
যদি একটি দেশের তারুণ্যের বিপ্লবী চেতনাকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়, তাহলে সেই দেশটিকে সহজেই পদানত করে রাখা যায়। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারা খুব ভালো করেই এটি জানতো। আর তাই তারা এই রকম একটি প্রজন্মই গড়ে তুলতে চেয়েছিল। তারা জানতো জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। সেই বিবেচনা থেকেই তারা প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করতে, শিক্ষাবিমূখ করতে, ইতিহাসবিমূখ করতে এবং দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন করতে যা যা করা যায় তার সবই তারা করেছে। শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তকের বদলে তুলে দেওয়া হয় অস্ত্র। শিক্ষাঙ্গনে চলে রক্তের হোলি খেলার উৎসব। অস্ত্রের ঝনঝনানি, অবৈধ অর্থ আর অবাধ মাদকের থাবায় বুদ হয়ে থাকে বিভ্রান্ত প্রজন্ম। আর বিভ্রান্ত সেই প্রজন্মের মধ্য থেকেই তারা তাদের রাজনৈতিক শক্তি আহরণ করে দীর্ঘসময় রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে পেরেছে।
ঘুরে দাঁড়ানো প্রজন্ম এবং বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধুর ঘাতকচক্র ভেবেছিল হয়তো এভাবেই চলবে চিরকাল। কিন্তু মিথ্যার উপর দাঁড়িয়ে কোনো কিছু দীর্ঘকাল চলে না, চলতেও পারে না। সত্যটা একটা সময় ঠিকই ঘুরে দাঁড়ায়। আর এই ঘুরে দাঁড়ানোর যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে।
পিতার মতো তিনিও উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে তরুণরা হচ্ছে একটি জাতির প্রাণশক্তি। তারা এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারে, তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে। প্রয়োজন তাদের সংগঠিত করা, স্বপ্নবান করা, আপন শক্তিতে বলীয়ান করা। স্বদেশের মাটিতে ফিরে শেখ হাসিনা তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত করে মানুষের গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সরকার গঠন করে তারুণ্যের শক্তিকেই সমাজ বিনির্মাণের হাতিয়ার করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে তিনি তারুণ্যের মধ্যে বুনে দেন স্বপ্নের বীজ। জয় করবার জন্য আছে গোটা জগৎ- এই প্রত্যয় তৈরি করে দেন তাদের মধ্যে।
প্রজন্ম ফিরে পেয়েছে তার তার হারানো গৌরবের জায়গাটি। তারা দেশ নিয়ে, দেশের অর্জন নিয়ে গর্ব করে। তারা উপলব্ধি করে যে অন্য কোনো জাতির থেকে তারা কোনোভাবেই পিছিয়ে নেই। বরং শৌর্য করার মতো, অহংকার করার মতো তার অনেক কিছু আছে। তারা উপলব্ধি করে কারো দয়ায় বা দানে নয়- লাখো শহিদের উত্তরাধিকার এই জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আপন শক্তিতে, আত্মমর্যাদায়।
তাদের মধ্যে এই বোধটি তৈরি করেছে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যুগে চাইলেও মানুষকে এখন আর বোকা বানিয়ে রাখা যায় না। সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে এখনকার প্রজন্ম অনেক বেশি জানছে, জানার চেষ্টা করছে। তারা আরও বেশি উৎসাহিত হয় যখন তারা বুঝতে পারে যে আব্রাহাম লিংকন, সিমোন বলিভার, মহাত্মা গান্ধী, প্যাট্রিস লুমুম্বা, ড. সুকর্ণ, সালভাদর আলেন্দে, নেলসন মান্ডেলার মতো আমাদেরও আছেন একজন। আর তিনি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারা এখন জানে একটি মানুষ কীভাবে একটি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন, ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে কীভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত করেছেন, কীভাবে একটি জাতির মুক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়। শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে বিভিন্ন আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা সেইসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করে। ফলে তাদের কাছে আজকে এটিও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে কারা, কেন, কোন উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে কীভাবে একটি সদ্য স্বাধীন দেশের সম্ভাবনাকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু এখন সকল বিতর্কের ঊর্ধ্বে। ফলে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে আড়াল করার যে অপরাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল, তা থেকে আমরা মুক্তিলাভ করেছি।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নে শোককে শক্তিতে পরিণত করে দেশাত্মবোধ নিয়ে গড়ে ওঠা তরুণ প্রজন্ম এখন বিশ্বপরিসরে নিজেদের সামর্থ্য ও সক্ষমতা তুলে ধরছে। শিক্ষা-দীক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সংস্কৃতি, খেলাধুলায় বিশ্বকে জানান দিচ্ছে যে আমরাও পারি। আর এই প্রজন্মকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বছরের প্রথমদিনে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করে শিক্ষার দুয়ারকে সবার জন্য অবারিত করা, জিরো ট্যাক্সের মাধ্যমে তরুণদের জন্য আইটিকে সহজলভ্য করা, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা, ইন্টারনেট ও মোবাইলকে সহজলভ্য করা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা, স্কুল-কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা, বৈশ্বিক পরিসরে নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা, চতুর্থশিল্প বিপ্লবের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা, আউটসোর্সিং-এর প্রসারে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবাকে নিশ্চিত করা সহ বিভিন্ন ধরনের যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন।
যে ঘাতকরা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে এদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হবে, ভেবেছিল প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করে দেশকে অকার্যকর করে রাখতে পারবে, কিন্তু আজকের প্রজন্ম তাদের সেই ভাবনাকেই ভুল ও মিথ্যে প্রমাণ করেছে। বিশ্ব পরিসরে নিজেদের জায়গা করে নিতে নতুন প্রজন্ম এখন নতুন লড়াইয়ে, আর তাদের সেই লড়াইয়ে পথ দেখাচ্ছেন, সাহস যোগাচ্ছেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সারাবাংলা/আইই