দখল ঠেকাতে নামছে চসিকের ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’
১৪ আগস্ট ২০২২ ২১:০৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নগরীতে খাল-নালা, সড়ক-ফুটপাত দখল ঠেকানো এবং দখলমুক্ত জায়গার পুনর্দখল ঠেকাতে ‘স্ট্রাইকিং ফোর্স’ গঠন করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। ফোর্সের সদস্যদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ ইউনিফর্ম। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) থেকে স্ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে নামবে বলে জানানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তার সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে স্ট্রাইকিং ফোর্সের কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বিশেষ এই দলের সদস্যরা নিয়মিত শহরে টহল দেবে। সড়ক ও ফুটপাত এবং খাল-নালা থেকে সিটি করপোরেশন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে যেসব ভূমি উদ্ধার করে, সেগুলো মনিটরিং করবেন টিমের সদস্যরা। সেগুলো পুনর্দখল হতে দেখলে অথবা অবৈধ স্থাপনা নিশ্চিত হলে টিমের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রধান পরিচ্ছন্ন কমকর্তাকে অবহিত করা হবে। এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক উচ্ছেদে নামবেন টিমের সদস্যরা।
জানতে চাইলে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হাশেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘সার্বক্ষণিক একটি টহল টিম করা হয়েছে। তাদের মূল কাজ হচ্ছে দখলমুক্ত করা জায়গা পুনর্দখল হয়েছে কি না সেটা যাচাই করা এবং দ্রুত ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অ্যাকশনে নামা। এছাড়া টিমের সদস্যরা যদি দেখেন কোথাও ফুটপাত-সড়ক কিংবা খাল-নালা অবৈধ দখল হয়ে আছে তারা সেটাও রিপোর্ট করবেন। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হবে। পরিচ্ছন্ন বিভাগে কর্মরত ২১ জন নিয়ে টিম গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে তাদের কাজ শুরু হবে।’
বিশেষ ইউনিফর্মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অভিযানে গেলে তাদের যাতে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায়, সেজন্য আলাদা ইউনিফর্ম দেওয়া হয়েছে। একটু আলাদাভাবে গর্জিয়াস করা, বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার অংশ। বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানিগুলোও তাদের কর্মীদের নির্ধারিত পোশাক সরবরাহ করে। আমরাও সেভাবেই করেছি।’
রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে নগরীর বাটালি হিল সংলগ্ন চসিকের কার্যালয়ে নবগঠিত স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ফুটপাত ও রাস্তায় কোনো অবৈধ দখলদার থাকতে পারবে না। যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন আমরা উচ্ছেদ করব এবং পুনরায় যাতে দখল না হয় সেটাও নিশ্চিত করব। শহরের সৌন্দর্য্য ফিরিয়ে আনতে যা যা করণীয় সবটুকই করব।’
সারাবাংলা/আরডি/এএম