এই যাত্রা কেউ থামাতে পারবে না: প্রধানমন্ত্রী
১৬ আগস্ট ২০২২ ২২:৪৩
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ইনশাআল্লাহ এই যাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। জাতির পিতার এই ত্যাগ বৃথা যাবে না।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবসের স্মরণ সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তার বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেই জয় বাংলা স্লোগান আবার ফিরে এসেছে। ৭ মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। কাজেই বিকৃত ইতিহাস নয়, এখন সঠিক ইতিহাস মানুষ জানতে পারছে। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি হিসাবে আমরা বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলেছি, আমরা চলবো। পাশাপাশি এই দুঃসময়ে দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে যা করণীয় অবশ্যই আমরা তা করে যাচ্ছি, করে যাব।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় তার (বঙ্গবন্ধুর) লাশ রেখেছিল যাতে কেউ সেখানে যেতে না পারে। আজকে টুঙ্গিপাড়ায় মানুষের ঢল নেমেছে।
জাতির পিতার আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, একটাই লক্ষ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তোলা। আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি। ইনশাআল্লাহ এই যাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। জাতির পিতার এই ত্যাগ বৃথা যাবে না।
জাতির পিতা দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে চেয়েছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই দেশটাকে স্বাধীনতার চেতনায় গড়ে তুলব। গ্রামগঞ্জের প্রত্যেকটা অঞ্চলে যেন ছোঁয়া লাগে, শুধু শহরভিত্তিক উন্নয়ন নয়। আমরা শহরের মানুষকে বঞ্চিত করিনি। হরিজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে উদ্বাস্তুদের জন্য ফ্ল্যাট করে দিচ্ছি। বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করে স্বল্প আয়ের মানুষের ঘরের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। ঠিক যে যে কাজ তিনি (বঙ্গবন্ধু) করতে চেয়েছিলেন সেটা সামনে নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কথা দিয়েছিলাম শতভাগ বিদ্যুৎ দেব। শতভাগ বিদ্যুৎ আমরা দিয়েছি। দুর্ভাগ্য আমাদের, এই করোনা যা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করেছে, তার উপর আবার মরার উপর খাড়ার ঘা, ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের কারণে আমেরিকা স্যাংশন দিয়েছে রাশিয়াকে। এই স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) আর পাল্টা স্যাংশনের ফলে আজকে একদিকে যেমন তেলের দাম হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে, প্রত্যেকটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। আমরা যে সমস্ত জায়গা থেকে যা আমদানি করি প্রত্যেকটা পণ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, এমনকি সেটার পরিবহন খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা সঞ্চালন করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান এবং দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী।
সারাবাংলা/এনআর/আইই