‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সুযোগ নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা’
১৭ আগস্ট ২০২২ ১৪:২৪
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর অজুহাতে কোনো কোনো ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছেন। আমার কাছে হিসাব আছে, তেলের দাম বাড়ার কারণে চালের দাম কেজিতে বড়জোর ৫০ পয়সা বাড়তে পারে, কিন্তু ৪ টাকা বেড়ে গেছে। কোনো লজিক আছে? তার মানে সুযোগটা নিয়ে নিয়েছে।’
বুধবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে টিসিবি’র এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির কার্যক্রম সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভোজ্যতেলের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা বাড়ানোর ব্যবসাযীদের প্রস্তাব প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ডলারের দাম বেশ ঊর্ধমুখী। আমরা দেখছি ডলারের দাম কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি না? আপাতত ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। চিনির দাম বাড়ানোর বিষয়ে কোনো প্রস্তাব আসেনি।
তিনি বলেন, ‘দেখেন মানুষ কত কায়দাবাজি করে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চন্দ্রা নামের একটা জায়গা আছে। দূরত্ব ধরেন ১৫ কিলোমিটার, ভাড়া নির্ধারণ করা হলো প্রতি কিলোমিটার ৩০ বা ৪০ পয়সা। সেখানে কী সুযোগ নিয়েছে? ওই ১৫ কিলোমিটার, জায়গার মাপ তো আগে পিছে করা যাবে না, যা দূরত্ব তাই। কিন্তু ভাড়া হিসাব করার সময় ওটা ৪ কিলোমিটার বাড়িয়ে দিয়ে করা হয়েছে।’
নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সরকার মানুষের দুর্ভোগ লাগবে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে- জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সত্যি কথা বলছেন। আমরা দেখছি, সব যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে তা নয়। সব ব্যাপারে আপনাদের বুঝাতে পারব, তাও নয়। কিন্তু আমার যেটা কথা, এগুলো একটা হঠাৎ করে সুযোগ কেউ নিয়েছে। যে পরিমাণ বাড়ার কথা এর চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ নিয়েছে, এটা সত্যি কথা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটা মন্ত্রণালয়ে নিজ নিজ স্থান থেকে চেষ্টা করা দরকার। ডলার দেখলেন হঠাৎ করে কত বেশি, সেটাও কিন্তু চেষ্টা করা হচ্ছে। একটু বোধহয় কমছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ সুযোগ তো কেউ কেউ নিচ্ছেন। আমাদের একটু সময় দেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি। আপনাদের যেমন বলতে হবে, কোথায় নিচ্ছে। আমাদের চোখ-কান খুলে দিতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে এক কোটি পরিবারেকে কার্ডের অ্যাপস ব্যবহার করে টিসিবির পণ্য দেওয়া হবে। এর মধ্যে অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এক কোটি পরিবারের মধ্যে ৯৬ লাখ পরিবারকে কার্ডের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যে তা শতভাগ সম্পন্ন করা হবে। টিসিরি পণ্যে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এতে করে ৫ কোটি মানুষ উপকার পাচ্ছেন ‘
এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, টিসিবি নিয়ে টিআইবি’র বক্তব্য তথ্যভিত্তিক নয়। আমরা ১ কোটি পরিবারকে পণ্য দিচ্ছি সেখানে বড়জোর ৪/৫ শতাংশ ভুল তথ্য কিংবা স্বচ্ছল মানুষ পেতে পারে। এ ধরনের কোনো তথ্য পেলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে।
সারাবাংলা/জিএস/এনএস