‘ভারতে বসে’ দেশে চাঁদাবাজিতে শিবির ক্যাডার, সহযোগী গ্রেফতার
১৭ আগস্ট ২০২২ ১৯:২৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ভারতে পলাতক এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের নামে চট্টগ্রাম নগরীতে এক দশক ধরে চাঁদাবাজি করে যাওয়া তার সহযোগী সন্ত্রাসী মানিক ওরফে গিট্টু মানিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ আগস্ট) তাকে গ্রেফতার করা হয়।
চাঁদা না পেয়ে গত ২০ জুলাই ভোরে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার হাজীরপুল এলাকায় একটি ফোম কারখানায় অগ্নিসংযোগের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতার মানিক প্রকাশ গিট্টু মানিক (৪০) নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার হামিদপুর এলাকার বাসিন্দা।
বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস জাহান সারাবাংলাকে বলেন, ‘কারখানার আগুন দেওয়ার ঘটনায় মোবারক ও জিসান নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিল মানিক। তাকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় আরও ছয়টি মামলা আছে।’
চট্টগ্রামের এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ আলী খান। ২০০১ সালের ৩ অক্টোবর নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার চালিতাতলী এলাকায় কথিত বন্দুকযুদ্ধের পর সাজ্জাদ ও তার সহযোগী আরেক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার দেলোয়ার হোসেন ওরফে আজরাইল দেলোয়ারকে একটি একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে ভারতে চলে যায় সাজ্জাদ। সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে কিছুদিন অবস্থান করে। পরে আবার ভারতে ফিরে আসে। বর্তমানে সাজ্জাদ ভারতে অবস্থান করছে বলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাছে তথ্য আছে।
ওসি ফেরদৌস জাহান বলেন, ‘সাজ্জাদের দুই সহযোগী ম্যাক্সন ও সরোয়ারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ২০১১ সালের ৪ জুলাই গ্রেফতার করেছিল বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ। পর দিন সাজ্জাদের আরেক সহযোগী মানিককে চট্টগ্রাম নগরীর হামিদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একটি একে-৪৭ রাইফেল ও ২৭ রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলিসহ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। একবছর পর জামিনে বেরিয়ে মানিক আত্মগোপনে চলে যায়।’
‘কয়েক বছর ধরে আমরা সাজ্জাদের নামে চট্টগ্রাম নগরীতে চাঁদাবাজির বিভিন্ন অভিযোগ পাচ্ছিলাম। চাঁদা না পেয়ে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণসহ একাধিক ঘটনাও ঘটানো হয়। সর্বশেষ কারখানায় অগ্নিসংযোগের পর আমরা সাজ্জাদের তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। তারা জানিয়েছে, সাজ্জাদ বিদেশ থেকে দেশে থাকা তার সহযোগীদের সংগঠিত করে চাঁদাবাজি চালিয়ে আসছিল।’
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম