Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রশিদ ছাড়া সার বিক্রি নয়, লালসালুতে থাকতে হবে মূল্যতালিকাও

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ আগস্ট ২০২২ ১৯:৪১

ফাইল ছবি: সারের দোকান

ঢাকা: রশিদ ছাড়া কেউ যেন সার বিক্রি করতে না পারে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। ডিলারে গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করতে হবে। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি বিভাগ নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনাও এসেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘সার্বিক সার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ সভায় মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও সারাদেশের জেলা-উপজেলাসহ মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন। সভায় প্রতিটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালকরা সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে ও দাম বেশি নিতে না পারে- সে বিষয়ে তদারকি জোরদার ও নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে, কোথাও সারের সংকট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংকট তৈরি করছে কি না সে ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তাদের বাড়তি সতর্কতা গ্রহণের আহ্বান জানান কৃষিসচিব।

আলোচনা শেষে সভায় সঠিকভাবে সার বিতরণ-বিক্রি নিশ্চিত করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের বেশ কিছু নির্দেশনা দেন কৃষিসচিব। ডিলাররা যেন বরাদ্দকৃত সার যথাসময়ে উত্তোলন করে তা নিশ্চিতের জন্য ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত মনিটরিং জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়। কোনো কোনো ডিলার বরাদ্দকৃত সার যথাসময়ে উত্তোলন না করার কারণে সার বিক্রির সময় রেশনিং করে থাকেন, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। ফলে মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মাঝে এক ধরণের কৃত্রিম আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। কোনো ডিলার যেন নিয়মবহির্ভুতভাবে সার বিক্রিতে রেশনিং না করতে পারেন, সেজন্য ডিলারদের সতর্ক করাসহ তদারকি বৃদ্ধি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় জানানো হয়, চাহিদার বিপরীতে দেশে সবরকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে (২১ আগস্ট) ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৩ লাখ ৯৪ হাজার টন, ডিএপি ৭ লাখ ৩৬ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৭৩ হাজার টন। সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে আমন মৌসুমে (আগস্ট থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত) সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৬ লাখ ১৯ হাজার টন, টিএসপি ১ লাখ ১৯ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ২৫ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ৩৭ হাজার টন।

বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুদ ছিল ৬ লাখ ০৬ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ২ লাখ ২৭ হাজার টন, ডিএপি ৫ লাখ ৫৬ হাজার টন এবং এমওপি ১ লাখ ৯৬ হাজার টন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

মূল্য তালিকা রশিদ ছাড়া লাল সালু সার বিক্রি