Monday 18 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তার প্রভিডেন্ট ফান্ডের ৮ লাখ টাকা গায়েব!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২১ আগস্ট ২০২২ ২০:০১

নড়াইল: ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অফিসের সাবেক স্টেশন অফিসার এস এম তবিবর রহমান চাকরি শেষে গত ২০২০ সালের ১ আগস্ট পূর্ণ অবসরে যান। কিন্তু গত ৩ বছরেও প্রভিডেন্ট ফান্ডে তার জমা করা ৮ লাখ টাকা বুঝে পাননি। টাকাগুলো নড়াইলের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মো. শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা গায়েব করে দিয়েছে বলে ভুক্তভোগীর অভিযোগ।

চাকরি জীবনের সঞ্চিত ওই টাকা পেতে তবিরর রহমান গত ১৬ আগস্ট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবিবর রহমান কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বাকা গ্রামের মৃত মো. ইমান উদ্দিন শিকদারের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, চাকরির মেয়াদ শেষে এস এম তবিবর রহমান পূর্ণ অবসর গ্রহণ করেন। অবসর ছুটি নিয়ে যথানিয়মে তিনি প্রফিডেন্ট ফান্ডে জমা করা ৭ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পেতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। বিধি অনুযায়ী নড়াইল জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা তার প্রফিডেন্ট ফান্ড (অগ্নি/ খুলনা/১৬২ নম্বর) হিসাব চূড়ান্ত করেন। এরপর গত ২০২০ সালের ৯ মার্চ জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নড়াইলের উপ-সহকারী পরিচালক তবিবর রহমানের প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা তোলার জন্য প্রত্যয়নপত্র দেন।

প্রত্যয়ন অনুযায়ী ওই বছর ১১ মার্চ উপসহকারী পরিচালক সোনালী ব্যাংক নড়াইল শাখায় তার ৩৩০০৪৭৬৩ নম্বর হিসাবে ৬৫২০০১ নম্বর একটি চেক জমা করেন। পরে টাকাগুলো তুলে সংশ্লিষ্টরা গায়েব করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদাহ জেলায় বদলি হয়ে যান।

অপরদিকে, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তবিবর রহমান গত তিন বছর ধরে নড়াইল ফায়ার স্টেশানে ধর্ণা দিতে দিতে নিজেই এখন অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কিন্তু তার সঞ্চিত টাকা তিনি পাননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এস এম তবিবর রহমান বলেন, ‘প্রফিডেন্ট ফান্ডের টাকা পেতে অবসর ছুটিকালে আবেদন করা হয়। কিন্তু নড়াইলের তৎকালিন উপসহকারী পরিচালক মো. শামিমুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা দিনের পরদিন আমাকে ঘোরাতে থাকে। এরপর শামিমুল ইসলাম ঝিনাইদহে বদলি হয়ে যান। তারপর আমি নড়াইল অফিস থেকে গত ৩ বছরেও কোনো সুরাহা পাইনি।’

নড়াইলের তৎকালিন উপসহকারী পরিচালক ও বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলায় কর্মরত মো. শামিমুল ইসলাম বলেন, ‘তবিবর রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে সম্প্রতি ঘটনাটি জানতে পেরে খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি ওই টাকা নড়াইল অফিসের অফিস সহায়ক মো. নাহিদ হোসেন তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তুলে নিয়েছে।’ তবে স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় নাহিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি।

অফিস সহায়ক মো. নাহিদ হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘তবিবর রহমানের পাওনা টাকার বিষয়ে একাধিকবার অফিসে বসা হয়েছে। তবে আমি কোনো জালিয়াতি করিনি।’

নড়াইল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘তবিবর রহমানের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা না পাওয়ার বিষয়ে মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ দায়েরের ঘটনাটি জেনেছি।’

সারাবাংলা/এমও

৮ লাখ টাকা গায়েব নড়াইল প্রভিডেন্ট ফান্ড ফায়ার সার্ভিস ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর