Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জমি সংক্রান্ত ৬০ শতাংশ মামলা কমিয়ে দেবে বিডিএস: ভূমি সচিব

স্পেশাল করেসপন্টেন্ড
২১ আগস্ট ২০২২ ২০:০১

ঢাকা: সরকারের অর্থায়নে পটুয়াখালীতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে বা বিডিএস। পাইলটিং এই প্রকল্প বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করছেন নীতি নির্ধারকরা।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এই জরিপে যেমন সময় কম লাগবে, তেমনই দুর্নীতির সম্ভাবনাও কমবে। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি বিডিএস বাংলাদেশে জমি সংক্রান্ত মামলা ৬০ শতাংশ কমিয়ে দেবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করার পর খসড়া খতিয়ান প্রস্তুত ও প্রদানের কাজও ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হবে। বিডিএস-এ প্রস্তুত করা মানচিত্রের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো স্মার্ট ম্যাপ, যেখান থেকে ম্যাপে ক্লিক করেই সংশ্লিষ্ট প্লটের মালিকানার তথ্য পাওয়া যাবে।

তিনি বলেন, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর (এলডি ট্যাক্স/ জমির খাজনা) ব্যবস্থা ভূমি সেক্টরে দুর্নীতি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার পর দাখিলা (রশিদ) সংগ্রহ করতে গিয়ে এখন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না জনগণকে। অনলাইনে এলডি ট্যাক্স দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনেই দাখিলা পাওয়া যাচ্ছে।

ভূমি সচিব স্থানীয় পর্যায়ে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বিভাগীয় কমিশনারদের আহ্বান জানান। এছাড়াও, ই-নামজারি আবেদনের সময় সরকারের কাছে সংরক্ষিত দলিলাদি/কাগজ-পত্রাদি পুনরায় যেন আবেদনকারী থেকে চাওয়া না হয় সে ব্যাপারে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ প্রদান করেন সচিব। তিনি মাঠ পর্যায়ের ভূমি অফিসের কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণের জন্য রিপোর্টিং ড্যাশবোর্ড নিয়মিত পর্যালোচনা করার অনুরোধ জানান।

বিজ্ঞাপন

সম্মেলনে প্রদর্শিত এক সচিত্র প্রদর্শনিতে (PowerPoint presentation) দেখা যায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পর্যালোচনা অনুযায়ী, অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে ঢাকা বিভাগ, কম সময়ে ই-নামজারি নিষ্পত্তিতে রংপুর বিভাগ এবং ডাকযোগে খতিয়ান ও ম্যাপ সরবরাহে খুলনা বিভাগ অন্যান্য বিভাগের চেয়ে এগিয়ে আছে। ভূমি সচিব আশা প্রকাশ করেন অন্যান্য বিভাগও বিভিন্ন ভূমি সেবা প্রদানে দ্রুত অগ্রগতি লাভ করবে।

এ সময় প্রতিটি বিভাগে প্রাথমিকভাবে একটি ভূমিসেবা কিয়স্ক (kiosk) সরবরাহের ঘোষণা দেন ভূমিসচিব। কিয়স্ক বিভিন্ন জনবহুল এলাকা যেমন স্টেশন, বিপণী-বিতান, অফিস কমপ্লেক্স ইত্যাদি জায়গায় স্থাপন করা হবে। নাগরিক প্রয়োজনীয় ফি’র বিনিময়ে প্রয়োজনীয় আবেদন ও জমির খতিয়ান প্রিন্ট করতে পারবেন।

অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর, ডিজিটাল রেকর্ড রুম, আন্তঃজেলা ভূমি বিরোধ, ভূমি অফিস নির্মাণ, জনবল নিয়োগ সহ প্রভৃতি ভূমি বিষয়ক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় সমন্বয় সভায়।

ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান সোলেমান খান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন-সহ বাংলাদেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জেআর/এএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর