জনগণকে সেবা দেওয়া সাংবিধানিক কর্তব্য: প্রধানমন্ত্রী
২২ আগস্ট ২০২২ ১৬:৩৭
ঢাকা: প্রজাতন্ত্রের নবীন কর্মকর্তাদের দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের সেবা দেওয়া সাংবিধানিক কর্তব্য সকলের। তাই জনগণের সেবায় নিবেদিত দক্ষ পেশাদার মনোভাব সম্পূর্ণ জনপ্রশাসন গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৩তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সাভার বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রান্তে যুক্ত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা আসছে। তখন সম্পূর্ণভাবে আইসিটি ব্যবহারের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাবে। তার জন্য আমাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকবল সৃষ্টি করতে হবে।
প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যে কথাটা জাতির পিতা বলে গেছেন। আজকে যতটুকুই অর্জন এদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ তারা রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে, ঘাম ঝরিয়েই তো অর্জন করে। সেখান থেকেই তো বেতন ভাতা আমাদের সবকিছুর সহযোগিতা হয়। কাজেই তাদের ভাগ্য আমরা কেন পরিবর্তন করব না।
বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের অংশ হিসাবে প্রশিক্ষণার্থীদের নিজের গ্রামে নিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, নিজের মাটি মানুষকে যদি না চিনি বা তাদের সুখ দুঃখের সাথী হতে না পারি, তাহলে তাদের সেবাটা দেবো কিভাবে।
২০৪১ সালের যে পরিকল্পনা, সেই পরিকল্পনায় নবীন কর্মকর্তারাই কারিগর হিসাবে কাজ করবেন আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারাই হবেন কারিগর যারা, এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। ২০৪১ সালে থামলেই চলবে না। আমাদের অনেক কাজ। জাতিসংঘ ঘোষিত সাসটেইনবেল ডেভলপমেন্ট গোল (এসডিজি) সেটাও যেমন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যের হার ৪০ ভাগ থেকে ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র্য থাকুক সেটা আমি চাই না। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে গৃহহীন ভূমিহীন ঘরবাড়ি করে দেওয়ার সুফল এখন দেশের মানুষ পাচ্ছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/এএম