স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই গ্রেনেড হামলা
২২ আগস্ট ২০২২ ২২:৪৪
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতেই তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত সরকারের ইন্ধনে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। তারা চেয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে।
রোববার (২১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বশির উদ্দিন রোডে বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন। ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংবাদিক অজিত কুমার সরকার।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, দিয়েছেন লাল-সবুজের পতাকা। এমন একজন মানুষকে অমানুষদের হাতে সপরিবারে জীবন দিতে হলো। এ ধরনের জঘন্যতম ঘটনা বিশ্বের বুকে দ্বিতীয়টি আর ঘটেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ও ২০০৪ সালে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল একই সূত্রে গাঁথা।
বক্তারা আরও বলেন, ৭৫ সালে তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। ভাগ্যক্রমে সেদিন শেখ হাসিনা বেঁচে যান। কিন্তু ষড়যন্ত্র এখনো চলছে, ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র চায় বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানাতে, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে নির্মূল করতে।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুকের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও রেহান সোবহান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আইবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. লিয়াকত হোসেন মোড়ল, ড. কাজি মাসুদ, অধ্যাপক হানিফ সিদ্দিকী, মোহাম্মদ আবু মুসা প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/পিটিএম