‘দমনপীড়নে বিএনপিকে দমানো যাবে না’
২৩ আগস্ট ২০২২ ১৮:১০
ঢাকা: দমনপীড়নে বিএনপিকে দমানো যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
গুম-খুন-ক্রসফায়ারে হতাহত নেতাকর্মীদের পরিবারকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেকে রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিকসহ সহায়তা প্রদান উপলক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী হেল্প সেল।
অনুষ্ঠানে ভোলা, ফেনী, নেত্রকোনা, চট্টগ্রামের যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্র দলের ১৪ জন নেতাকর্মীর পরিবারকে এককালীন ও শিক্ষাবৃত্তির আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গতকাল (সোমবার) থেকে আমাদের ফের নতুন করে গ্রাম পর্যায়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে এবং সেটা হচ্ছে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে। গোটা দেশের মানুষ দেখছে যে, কীভাবে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসছে। প্রায় প্রতিটি থানা-উপজেলায় বড় বড় মিছিল হয়েছে।’
‘গতকাল লক্ষ্মীপুরে শহিদ উদ্দিন চৌধুরীর বাড়িতে আক্রমণ করেছে, বরিশালের গৌরনদীতে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাদেরকে ঘর থেকে ধরে এনে মারধর করেছে, অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। এত নির্যাতন, এত নিপীড়ন, এত হত্যা, এত গুম-খুনের পরও বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছে না। বিএনপি সেই ফিনিক্স পাখির মতো আবার ওই ধ্বংসাবশেষ থেকে জেগে উঠছে’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘তারা (সরকার) খালেদা জিয়াকে বাইরে চিকিৎসা করতে দিতে চায় না। বিরোধিতা করে। কেন? যদি তিনি বেরিয়ে আসেন তাহলে তারা সামাল দিতে পারবে না। তারেক রহমান যদি দেশে আসেন তাহলে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে- এই ভয়েই তারা তারেক রহমানকে আসতে দিতে চায় না।’
গুম-খুন-নির্যাতনের শিকার পরিবারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই কথা আমরা দিতে পারি যে, আমরা যদি এই সরকারকে পরিবর্তন করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারি, একটা সত্যিকারের জনগণের পার্লামেন্ট আনতে পারি তাহলে আমাদের এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছেন তাদের সকলের পুনর্বাসনের জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, এই সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তুলে নিয়ে যায়। তারপরে দেখেছেন, নেত্র নিউজে যে খবর বেরিয়েছে- তাদের সেই টর্চার সেল আছে। তার নাম দিয়েছে আয়না ঘর। সেই আয়না ঘরে নিয়ে যায়। যাদের মেরে ফেলতে হয় তাদের মেরে ফেলে, যাদের রেখে দিতে হয় তাদের রাখে, টর্চার করে, বছরের পর বছর তাদের রাখে। যারা কয়েকজন সৌভাগ্যক্রমে বেরিয়ে যেতে পেরেছিল, তারা বিদেশে চলে গেছেন, গিয়ে সেখান থেকে বলছেন যে, এই ধরনের একটা সেলে আমাদের আটকিয়ে রাখা হয়েছিল।’
জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের সদস্য যুব দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুন হাসানের সভাপতিত্বে এবং হেল্প সেলের সদস্য মামুন খান, ফয়সাল আহমেদ ও নাসির উদ্দিন শাওনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, ছাত্র দলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পারভেজ রেজা কাকন, হেল্প সেলের সুমন আহসান, ওবায়দুর রহমান, কাজী এমদাদুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম রাসেল, এমদাদুল হক লিমন প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম