ইভিএমে ভোট কারচুপি সম্ভব হয় না: সিইসি
২৪ আগস্ট ২০২২ ১৮:২৩
ঢাকা : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো দলের চাওয়া কিংবা না চাওয়ায় নয়। আমরা সব দলের মতামত নিয়েছি। আগামী নির্বাচনে সম্ভব হলে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করব। আমরা পুরোপুরি আস্থাশীল হয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বুধবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, ‘ব্যালট পেপারে যে সব সমস্যা হয়, তার জবাব ইভিএমে ভালোভাবে পাওয়া যাবে। কেননা ইভিএমে সহিংসতা, ভোট কারচুপি সম্ভব হয় না।’
সিইসি বলেন, ‘আমরা ইভিএম নিয়ে চট জলদি কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এবং টেকনিক্যালিও ইভিএম নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করা হয়েছে। ওটা কতটা নির্ভরযোগ্য বা সত্য, আমরা তা পরখ করে দেখার চেষ্টা করেছি। আমরা বিভিন্ন দলকে বলেছিলাম আপনাদের টেকনিক্যাল পারসনদেরকে নিয়ে আসেন। ওরাও এসেছিলেন। আমরা আজ পর্যন্ত ইভিএম নিয়ে যে সব বক্তব্য চাউর হয়েছে- এখানে দিলে ভোট ওখানে চলে যাবে। এর কোনো নির্ভরযোগ্যতা পাইনি। কেউ তা দেখাতেও পারেননি। আমরা ইভিএম নিয়ে চটজলদি কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা অনেকগুলো কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করেছি ও দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে ১৫০ ও ১৫০ এই দুইভাগে ভাগ করে ইভিএম ব্যবহার করব। এটি নিয়ে যে কথাগুলো চালু আছে, সেগুলো নির্বাচনের পরেও কিন্তু বোঝা যাবে। আমরা পুরোপুরি আস্থাশীল হয়েই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যালট পেপারে যে সমস্যা হয় তার জবাব ইভিএমে ভালোভাবে পাওয়া যাবে। কেননা ইভিএমে সহিংসতা, কারচুপি সম্ভব হয় না।’
বিএনপি কোনো দাবি নিয়ে আসলে তখন কী করবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ওনারা এলে হয়ত আলোচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। সব দলের মতামত আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। ভোট হ্যান্ডেল করার দায়িত্ব ইসির।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘কিভাবে ভোট করলে স্বাচ্ছন্দ্য হতে পারে, সুষ্ঠু হতে পারে এবং ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে, সেটি আমাদের মুখ্য বিবেচনার বিষয়। দলগুলোর কে কী বলেছে তা মুখ্য বিবেচনায় আসেনি। তবে তাদের বক্তব্যগুলো বিবেচনায় নিয়েছি। পাশাপাষি কোটি কোটি যে ভোটার আছেন, তারা যাতে ভালোভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই বিষয়টাকে বিবেচনায় নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে বিষয়টা আলোচনা-পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্তটা নিয়েছি। এখন ইভিএমের ক্ষেত্রে ওই ধরনের মাস্তানি কেউ করলে তা মোকাবিলা করতে হবে। আমরা তা করব।’
১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে বিতর্ক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহারে সামর্থ্যের একটি বিষয় আছে। ৩০০ আসেন যাচ্ছি না কারণ এতে আরেকটা সুযোগ হলো যে, ১৫০টিতে ইভিএম, ১৫০টি ব্যালট; এতে তুলনা করা যাবে। আমরা ভবিষ্যতে আরও বেশি নিশ্চিত হতে পারব যে ইভিএম দিয়ে কী মন্দ হচ্ছে, না উত্তম হচ্ছে। সংকট ভবিষ্যতে কী হবে, আপনারা ওয়েট করেন, আমরাও ওয়েট করি। দেখি কী হয়। আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা জানিয়েছি।’
সিইসি বলেন, ‘ভবিষ্যত আমরা বলতে পারিনা। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও সংকট ছিল, ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়েও সংকট ছিল। এবার আদৌ নির্বাচন নিয়ে সংকট হবে কি না তা তো বলা যাবে না।’
সারাবাংলা/জিএস/একে