৭ শতাংশ কমিশন না দিলে ৩১ আগস্ট পেট্রল পাম্পে ধর্মঘট
২৪ আগস্ট ২০২২ ১৯:৫৯
ঢাকা: জ্বালানি তেল বিক্রিতে লিটারে ৭ শতাংশ কমিশন দাবি করেছে বাংলাদেশ ডিলারস, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। দাবি আদায়ে ৩১ আগস্ট থেকে প্রতীকী ধর্মঘট পালন করবে তারা। দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনের পক্ষ থেকে এ হুমকি দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হক।
জ্বালানি তেলের ৭ শতাংশ কমিশনসহ ৫ দফা দাবির কথা জানিয়েছে তারা।
সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাত দিনের মধ্যে তাদের দাবিগুলো না মানলে তারা ৩১ আগস্ট ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রতীকী ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে। তারপরও দাবি আদায় না হলে তারা লাগাতার ধর্মঘটের কর্মসূচিতে যাবে।
নাজমুল হক জানান, তারা চাইলে দেশে অচলাবস্থা তৈরি করতে পারেন, কিন্তু তা করেননি। এখন ধর্মঘটের মতো কর্মসূচি দিচ্ছেন। কারণ তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।
নাজমুল হক বলেন, ‘২০১৩ সালে অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে তাঁরা ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ কমিশন পেতেন। আর ডিজেল থেকে পেতেন ৩ দশমিক ২২ শতাংশ কমিশন। এখন এ কমিশন প্রায় ১ শতাংশ করে কমেছে।’
কমিশনের হার ৭ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তেলের কারচুপি রোধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা; অভিযানের সময় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বা বিপণন কোম্পানির প্রতিনিধি রাখা; সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে ইজারা মাশুল যৌক্তিক হারে নির্ধারণ করা; রাস্তায় জ্বালানি পরিবহনের সময় ট্যাংক-লরির কাগজপত্র পরীক্ষার নামে পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।
তবে নাজমুল হক অভিযোগ করেন, যেসব পেট্রলপাম্পে পরিমাপে কোনো হেরফের পাওয়া যায় না, সেখানেও নানা অজুহাতে হয়রানি-জরিমানা করা হয়।
তেল বিক্রির কমিশন কম হওয়ার কারণে কেউ কেউ মাপে কারচুপি করতে পারেন বলে মনে করেন নাজমুল হক। এ ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কাউকে শাস্তি দেওয়ার কোনো ক্ষমতা আমাদের নেই।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হারুন অর রশীদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর আহসান উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/একে