সলিমপুরে গাড়ি ভাংচুর: ৬ মামলায় আসামি ২০০ জন
২৪ আগস্ট ২০২২ ২৩:১৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দাদের ভূমির স্থায়ী বন্দোবস্ত ও পানি-বিদ্যুতের দাবিতে মহসড়ক অবরোধ করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ। যেগুলোতে নারী-পুরুষসহ প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ আগস্ট) এই মামলাগুলো করা হয় বলে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাংচুরসহ দু’টি ঘটনায় মোট ছয়টি মামলা হয়েছে। যেগুলোতে ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও অন্তত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, বিস্ফোরক, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো করা হয়েছে।
পরিদর্শক সুমন বলেন, ‘বিক্ষোভকারীরা প্রথমে বায়েজিদ লিঙ্ক রোডের ৪ নম্বর ব্রিজের কাছে বিক্ষোভ করে। সেখান থেকে মহাসড়কে এসে পুনরায় বিক্ষোভ করে। তখন নিজেদের মধ্যে মারামারি করে তারা পুলিশের ওপরও হামলা করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বিরোধী কিছু লোকও এসব কর্মকাণ্ডে উসকানি দিয়েছে। ঘটনাস্থলের ছবি বিশ্লেষণ, বিভিন্ন প্রকার তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, সলিমপুর এলাকার বিএনপি-জামাতের লোকজনও জড়িত ছিল।’
প্রায় দুমাস ধরে সলিমপুরের বাসিন্দাদের সঙ্গে প্রশাসনের বিরোধ চলছে। সেখানে আলীনগরে অবৈধ বসতি উচ্ছেদে এখন পর্যন্ত নয় বার অভিযান চালানো হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা হয় পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ। ভূমির স্থায়ী বন্দোবস্ত ও পানি-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবিতে সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর ও আলী নগরের বাসিন্দারা মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে বায়েজিদ লিংক রোডের এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির সীমানা সংলগ্ন অংশে অবরোধ করে। পরে তারা ভাটিয়ারিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে।
বিক্ষোভের কারণে বেলা সোয়া ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দেশের প্রধান মহাসড়কে আটকা পড়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানার পণ্যবাহী হাজারো যানবহান। বাসে, ব্যক্তিগত গাড়িতে আটকে পড়া হাজার হাজার নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়। শেষ পর্যন্ত তাদের সরিয়ে সড়কে যান চলাচল শুরু করতে বল প্রয়োগ করতে হয় পুলিশকে।
সে সময় পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ বাধে। জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকার দুই অংশ ছিন্নমূল ও আলীনগরের সব বাসিন্দাকে সরকারি খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দিয়ে সেখানে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। কিন্তু প্রশাসন বলছে, প্রকৃত ভূমিহীনদেরই শুধু পুনর্বাসন করা হবে।
সারাবাংলা/পিটিএম