রংপুর: জেলার কাউনিয়া উপজেলায় মাকে হত্যার পর নিজ ঘরে লাশ পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। ঘটনার পাঁচ দিন পর গতকাল বুধবার (২৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই ঘর থেকে বৃদ্ধা জমিলা বেগমের (৬০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ছেলে জামিলকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। নিহত জমিলা বেগম উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের সিট নাজিরদহ গ্রামের লাল মিয়ার স্ত্রী। রংপুর জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম পলাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এলাকাবাসী ও স্বজনরা জানান, নিহতের স্বামী আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র বাস করেন। মা-ছেলে এই বাড়িতেই থাকতেন।
আশরাফুল আলম জানান, গত ২০ আগস্ট সকাল থেকেই জমিলা বেগমের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঘরে গিয়ে মেঝে উঁচু দেখে স্বজন ও এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ সময় জামিলকে আটক করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাকে হত্যার পর ঘরে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করে। পরে এলাকাবাসী কাউনিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ সাড়ে ১০টায় ঘটনাস্থলে এসে এলাকাবাসীর সহায়তায় মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পারিবারিক বিরোধের কারণে জামিল তার মায়ের কক্ষে ঢুকে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের মেঝে খুঁড়ে পুঁতে রাখেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জামিল মাকে হত্যা করে পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, লাশের ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আটক হওয়া ছেলের সঙ্গে কথা বললে মূল ঘটনা জানা যাবে।