রাতে ফার্মেসি খোলা নাকি বন্ধ?— সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘সমন্বয়হীনতা’
২৬ আগস্ট ২০২২ ০৯:৫৩
ঢাকা: বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে মধ্যরাতে ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি বন্ধ রাখতে হবে— গণবিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। নির্দেশনা অনুযায়ী, অলি-গলির সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টার পর বন্ধ হয়ে যাবে। আর হাসপাতাল সঙ্গে সংযুক্ত ওষুধের দোকান বন্ধ হবে রাত ২টার পর।
এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রাত ২টা পর্যন্ত নয়, ২৪ ঘণ্টাই ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। সিটি করপোরেশন যদি এ বিষয়ে কিছু করে থাকে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। একটা সুরাহা অবশ্যই করব। ইনশাআল্লাহ ‘খোলা’ থাকবে বলে আমরা মনে করি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের সঙ্গে তাদের আলোচনা হয়নি। এমনকি আলোচনার জন্য কোনো পদক্ষেপও নেওয়া হয়নি।
এদিকে, ওষুধের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা নিয়ে একদিকে যখন দেশের গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা, ঠিক তখনই উঠে এসেছে নতুন একটি প্রশ্ন।
ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার কার?— এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে এখন সবাই ব্যস্ত। আর বিশেষজ্ঞরা শঙ্কিত এই কারণে যে, রাতের জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় ওষুধের প্রয়োজন হলে তা কীভাবে পাওয়া যাবে। সে কারণে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবচনার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্তকে সমন্বয়হীনতা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
কী বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী?
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক ২৪ ঘণ্টা ফার্মেসি খোলা রাখার বিষয়ে জানালেও তিনি বলেন, এই বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হবে।
তিনি বলেন, ওষুধের দোকানের বিষয়ে আমরা বন্ধ করার জন্য কোনো নির্দেশনা দেইনি। যেসব প্রতিষ্ঠান জরুরি সেবা দিয়ে থাকে, সাধারণত বন্ধ রাখা হয় না। ফার্মেসিগুলো কিন্তু ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে। এ বিষয়ে আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি। সিটি করপোরেশন যদি এ বিষয়ে কিছু করে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সুরাহা অবশ্যই করব। আমি মনে করি এটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, যখনই শুনেছি তখন থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। খোলা ইনশাআল্লাহ থাকবে আমরা মনে করি। উনারা হয়তো বলেছিলেন রাতের বিষয়। এ বিষয়টা অবশ্যই আলোচনার প্রয়োজন থাকে। উনারা একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, যে সিদ্ধান্ত আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে দেওয়া হয়নি। আমরা আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জাহিদ মালেক বলেন, এরই মধ্যে এ বিষয়ে আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের বলেছি, আলোচনা করে এটাকে সুরাহা করার জন্য।
কী ভাবছে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ?
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একাধিক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নগর ব্যবস্থাপনার বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চাইলেই সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। নগরীর উন্নয়ন ও ভবিষ্যত বিবেচনায় নিয়ে সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এটা সিটি করপোরেশন আইন, ২০০৯ অনুসারে স্বীকৃত। আর তাই এই আইন অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত নিতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হবে— এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির আরেকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে লাইসেন্স দিয়ে নগরীতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হলেও নগরীর যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। যারা ফার্মেসি বা ওষুধের দোকান পরিচালনা করে তারা আগে সিটি করপোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে থাকেন। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে ফার্মেসি পরিচালনা করে থাকেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নিশ্চিতভাবেই নগরীর সব দিক বিবেচনায় নিয়েই নির্দেশনা দিয়েছে। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কোনো আলোচনার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়নি। এমনকি বিষয়টি সম্পর্কে জানতেও চাওয়া হয়নি। আরবান হেলথ কেয়ার প্রকল্পের আওতায় সিটি করপোরেশনও চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের আওতাধীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের না।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু মেয়র ইতোমধ্যেই একটি নির্দেশনা দিয়েছেন তাই অন্য কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে কিছু বলবেন না। তিনি দেশের বাইরে আছেন বর্তমানে। সরকারের সাম্প্রতিক নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএসসিসি মেয়রও বর্তমানে মন্ত্রী পদমর্যাদায় ভূষিত। তাই তিনি দেশে ফিরে আসলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে যোগাযোগ করা হয় ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদের সঙ্গে। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের সারাবাংলাকে বলেন, এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে পারছি না। তবে যদি এমন কোনো আলোচনা হয়ে থাকে সেটা তো যথাযথ কর্তৃপক্ষ অবশ্যই গণমাধ্যমে জানাবেন।
রাত ১২ টার পরে ফার্মেসি বন্ধের সিদ্ধান্তে কী ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা?
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়ে ফার্মেসি বন্ধ রাখার বিষয়ে সিটি করপোরেশনের দেওয়া নির্দেশনাকে হঠকারী বলে ভাবছেন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মূল কাজ হলো তার নগরবাসীর সেবা দেওয়া। সেখানে অকল্যাণকর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। এই সিদ্ধান্ত একেবারেই হঠকারী। এটি দ্রুত প্রত্যাহার করা উচিত। এমনকি এজন্য দুঃখপ্রকাশ করা উচিত। এই সিদ্ধান্তের ফলে একজন লোকেরও যদি কষ্ট হয় অথবা জীবন বিপদে পড়ে এর দায় সিটি করপোরেশনকে নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন এ ধরনের কাজ করা বা নির্দেশনা দিতে পারে না। কারণ ওষুধের দোকান আর ১০টা বিলাসবহুল পণ্যের মতো নয়। এখান জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়।
ডা. বেনজির বলেন, দেখা গেল কোনো একটা এলাকায় ফার্মেসি খোলা থাকে কিন্তু সেখান থেকে ওষুধ নিতে আসে অন্য এলাকার বাসিন্দারাও। কারো কোনো শারীরিক অসুস্থতা যদি হঠাৎ করে দেখা দেয় তবে সেই এলাকার বাসিন্দাদের একটা নির্ভরশীলতা থাকে খোলা থাকা ফার্মেসিতে গেলে ওষুধ পাওয়ার বিষয়ে। তারা জানে এ দোকানটা রাতে খোলা থাকে, আমি জরুরি ওষুধটা এখান থেকে পাবো। এটা যদি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় বিপাকে পড়তে হবে। এছাড়া গভীর রাতে বেশি দূরে যাওয়াটাও ঝুঁকিপূর্ণ একটা বিষয় হয়ে থাকে নানা প্রেক্ষাপটে।
তিনি বলেন, এতোকিছু থাকতে আসলে ফার্মেসি বন্ধ করলেই কিভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় সেই বিষয়টাও আমার বোধগম্য নয়। কারণ শপিংমলগুলোতে দোকানদাররা অসংখ্য বাতি জ্বালিয়ে রাখা হয়। ওষুধের দোকানে কিন্তু তেমনটা নেই। এছাড়া বর্তমানে এনার্জি বাল্বগুলোতে বিদ্যুৎ অনেক কম খরচ হয়। ওষুধের দোকানে তেমন বিদ্যুৎ অপচয় হওয়ার কথা নয়। সুতরাং এটা বন্ধের নির্দেশনা কেন দেওয়া সেটাই বুঝছি না।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য সাময়িক কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে ওষুধের দোকান মানুষের জীবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়। রাতে কয়টা ওষুধের দোকানই বা খোলা থাকে। হাসপাতাল ক্লিনিকের আশপাশে ফার্মেসিগুলো বন্ধ করা সমীচীন নয়। এগুলো ২৪ ঘণ্টাই খোলা রাখা উচিত।
তিনি বলেন, ফার্মেসি সবসময়ই জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত। তাই হাসপাতালের সামনে সব ওষুধের দোকান খোলা রাখা উচিত। এগুলো বন্ধ রাখলে মানুষ যাবে কোথায়? এটা অবশ্যই সরকারকে ভেবে দেখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ফার্মেসি খোলা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যখন-তখন মানুষের এটার প্রয়োজন পড়ে। এক্ষেত্রে সব ফার্মেসি রাতে একটা নির্দিষ্ট সময় পরে বন্ধ করে দিলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে বড় সমস্যা ঘটে যেতে পারে। কারণ মানুষে জীবন তো আর ওই সময়ের মধ্যে বেঁধে রাখা যাবে না।
তিনি বলেন, এই ধরনের যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমি মনে করি প্রথমে নীতিনির্ধারকদের বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন তারা আসলে কি করতে চাচ্ছেন? এরপরে আইডেন্টিফাই করতে হবে কোন ফার্মেসি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, যদি কোনো ফার্মেসিতে ২৪ ঘণ্টাই মানুষ আসা-যাওয়া করে তবে সেগুলোকে আলাদাভাবে শনাক্ত করে সারা রাত খোলা রাখা উচিত। কম গুরুত্বপূর্ণ ফার্মেসি কিছু সময় বন্ধ রাখলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে আমি মনে করি না।
তবে এক্ষেত্রে সব পক্ষ একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিলে মানুষের কাছেও একটা সহজ বার্তা পৌঁছানো সম্ভব বলে উল্লেখ করেন ডা. নজরুল ইসলাম।
দুই ধরনের বক্তব্য ‘সমন্বয়হীনতা’-র প্রকাশ
একদিকে সিটি করপোরেশনের নির্দেশনায় যেখানে সময় উল্লেখ করে দিয়ে ফার্মেসি বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে তখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সেটা না জানাটা আসলে ভালো কিছু না। এক্ষেত্রে মানুষের মাঝে অনেক ধরনের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। আবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে না জানিয়ে ফার্মেসি বন্ধের নির্দেশনাও কিন্তু ভালো কোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে না। কারণ স্বাস্থ্যসেবায় কোনো বিচ্যুতি হলে সেটার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই কিন্তু দায় নিতে হবে। এমন অবস্থায় আসলে বর্তমান পরিস্থিতিতে যা হচ্ছে তাতে এক ধরনের সমন্বয়হীনতা দেখা যাচ্ছে। আর এটি খুব দ্রুত কাটিয়ে ওঠা প্রয়োজন।
সারাবাংলাকে এসব কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল হামিদ।
তিনি বলেন, সরকার দেশের জন্য একটা উদ্যোগ নিয়েছে যেটা নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আমরা সবাই পালন করবো। কিন্তু সেই উদ্যোগের বিষয়ে যদি নির্দিষ্ট কেউ কথা বলে জানাতেন তবে মানুষের কাছে তথ্য পৌঁছাতে সহজ হতো। এখন দেখা যাচ্ছে সিটি করপোরেশন ফার্মেসির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এটা তো আসলে জরুরি সেবা। এটা বন্ধ করার আগেও কিছু বিষয় বিবেচনায় নেওয়া যেতো।
তিনি আরও বলেন, রাত ১২ টার পরে স্বাভাবিকভাবে কয়টা এলাকায় ফার্মেসি খোলা থাকে? শাহবাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন কিছু ফার্মেসি, ধানমন্ডির দিকে একটা বা দুইটা দোকান খোলা থাকে সাধারণত। আর দেখা যায় হাসপাতালের ভেতরে থাকা ফার্মেসি খোলা থাকে। এক্ষেত্রে এগুলো যদি বন্ধ করা হয় তাতে কতটুকুইবা বিদ্যুতের সাশ্রয় হয় আসলে?
অধ্যাপক হামিদ বলেন, সরকারি হাসপাতালে যদি সব ওষুধ আমরা সবাইকে দিতে পারতাম তখন হয়তো একটা যুক্তি দাঁড় করানো যেতো। কিন্তু সেটা কি পারছি আমরা? আর সিটি করপোরেশন কিভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ ছাড়া এমন নির্দেশনা দেয়? কারণ করোনার সময়েও আমরা দেখেছি সিটি করপোরেশনের আওতাধীন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ব্যবস্থাপনা নিয়েও কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই সবাই দায়ী করেছিল অব্যবস্থাপনা বা অন্যান্য কারণে।
সুতরাং এক্ষেত্রে আসলে সমন্বয়হীনতা দূর করে সকল পক্ষের একসঙ্গে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। নতুবা এসব বিষয় নিয়ে সাধারণের মাঝে দ্বিধা সামনে আরও বাড়তে পারে।— যোগ করেন অধ্যাপক হামিদ।
এর আগে ‘নতুন গণবিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট সময় পর ফার্মেসিও বন্ধের কথা বলা হয়েছে’— এমন হলে নাগরিক দুর্ভোগ বাড়বে, বুধবার (২৪ আগস্ট) সকালে একটি অনুষ্ঠানে এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ফার্মেসিকে আমরা সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি। অলিগলিসহ বিভিন্ন এলাকায় যেসব ফার্মেসি আছে তা রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। হাসপাতালের সঙ্গে যেসব ফার্মেসি সংশ্লিষ্ট, সেগুলো রাত ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আশা করি, সবাই সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।
সারাবাংলা/এসবি/এএম