Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২ সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু: যা জানা গেল মেডিকেল রিপোর্টে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৬ আগস্ট ২০২২ ১৮:৫৭

সিলেট: ওসমানীনগরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী পিতা রফিকুল ইসলাম, মেয়ে সামিরা ইসলাম ও ছেলে মাহিকুল ইসলামের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়নি। তাদের মৃত্যু ‘রহস্যজনক ও অজ্ঞাত’ কারণে হয়েছে বলে দাবি করেছে মেডিকেল বোর্ড। আর এই অজ্ঞাত কারণের মধ্যে অক্সিজেন স্বল্পতার বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন চিকিৎসকরা।

ঘটনার প্রায় ৩৭ দিন পর মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিলেট জেলা পুলিশের হাতে এসে পৌঁছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট, ভিসেরা রিপোর্ট, ক্যামিকেল এনালাইসেস রিপোর্ট ও প্যাথলজিকেল রিপোর্ট পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞ টিম। এরপরই তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সিলেটের বিদায়ী পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বলেন, “নিহত ও অসুস্থদের শরীরে কোনো বিষক্রিয়া বা চেনতানাশক ব্যবহারের প্রমাণ মেলেনি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, শরীরে বাহ্যিক বা ভেতরে কোনো আঘাতের চিহ্নও পাওয়া যায়নি। মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবদেনে এই ঘটনাকে ‘রহস্যজনক ও অজ্ঞাতকারণে’ মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অজ্ঞাতকারণের মধ্যে অক্সিজেন স্বল্পতাও একটি কারণ হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।”

গত ১২ জুলাই ওসমানীনগরের রফিকুল ইসলাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। ঢাকায় এক সপ্তাহ থেকে বড় ছেলে সাদিকুলের চিকিৎসা শেষে গত ১৮ জুলাই পরিবারের ৫ সদস্যকে নিয়ে তাজপুর স্কুল রোডে ৪ তলা বাসার দু’তলায় ভাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন। ২৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেদের নিয়ে বাসার একটি কক্ষে রফিকুল এবং অপর দু’টি কক্ষে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও শ্যালকের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে বাসার অন্যান্য কক্ষে থাকা আত্মীয়রা ডাকাডাকি করে রফিকুলদের সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশ ডাকেন। পরে ওসমানীনগর থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।

এদিকে. হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসকরা যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী হোসনে আরা, বড় ছেলে সাদিককুল ইসলাম ও একমাত্র মেয়ে সামিরা ইসলামকে হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা ও ছেলে সাদিকুল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও দীর্ঘ ১১দিন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে থাকার পর সামিরা গত ৫ আগস্ট মারা যান।

সারাবাংলা/এমও

২ সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু টপ নিউজ প্রবাসীর মৃত্যু মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্ট সিলেট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর