ভাতে পোকা, ফ্রিজে পচা মাংস—ঢাবির ক্যান্টিনে তালা
২৬ আগস্ট ২০২২ ২০:৩৭
ঢাকা: পচা খাবার পরিবেশনের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্দীন হল ক্যান্টিনে তালা লাগিয়েছে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যান্টিনের রান্না ঘর থেকে নিম্নমানের পোকাযুক্ত চাল এবং ফ্রিজ থেকে পচা মাংসও উদ্ধার করেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে হল ক্যান্টিনে খেতে গেলে পোকাযুক্ত নষ্ট ভাত দেখে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হন।
পরে শিক্ষার্থীরা মিলে পচা খাবার উদ্ধার করে ক্যান্টিন-সংলগ্ন বাগানে নিয়ে আসেন। এ সময় ক্যান্টিনের ম্যানেজার মোবারক হোসেনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হলে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারতে উদ্ধত হন। পরে হলে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় তাদেরকে থামানো হয়।
ক্যান্টিনের রান্নাঘরে গিয়ে দেখা যায়, খোলা রান্না করার ভাতের পাশেই রাখা আছে বাসন ধোয়ার পানি। যেখান থেকে সহজেই পানি ভাতে পড়বে। এছাড়াও ভাতে আছে পোকা। রান্না করা মুরগিতে দেখা যায় পালক। এছাড়াও ফ্রিজের ভেতরের বেশিরভাগ খাবারই পচা এবং নষ্ট।
শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যান্টিনের সব খাবারই পচা এবং দুর্গন্ধযুক্ত। ভাতের নামে খাওয়ানো হচ্ছে চালের গুড়ি। এ ছাড়া সব ধরনের মাছ-মাংস ও তরি-তরকারি বাসি ও পচা।
শিক্ষার্থীরা ম্যানেজার মোবারককে অপসারণ এবং ক্যান্টিন পরিষ্কার ও মানসম্মত করার আগ পর্যন্ত ক্যান্টিন তালাবদ্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দেন। এক পর্যায়ে কবি জসীম উদ্দীন হল প্রাধ্যক্ষ ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ হাউজ টিউটর ড. মো. জহিরুল ইসলাম, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ওয়ালিউল সুমন ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান এসে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন।
এদিকে ক্যান্টিন ম্যানেজার মোবারক দাবি করেন পচা চালের বস্তা দোকানদার ভুল করে দিয়ে গেছেন।
এ ছাড়াও পচা মাংসের প্যাকেটের বিষয়ে বলেন, ‘এটি কোনো শিক্ষার্থী ক্যান্টিনের ফ্রিজে রেখে গেছে।’
হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ বলেন, ‘এ সব খাবার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। অপরাধীকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে।’
সারাবাংলা/আরআইআর/একে