ঢাকা: ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস নেটওয়ার্কের (এইএইচআরডি) আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, ‘মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার মানে হলো ছোট ডিঙি নৌকা নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করা। এই চেষ্টা করাটাই শক্তি। কাজ করার যদি মনোবল না থাকতো, তবে আমরা চেষ্টাই করতাম না ‘
শনিবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর লালমাটিয়ায় এনজিও ফোরামের কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস নেটওয়ার্কের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানবাধিকার কর্মীরা যোগ দেন। সভায় উপস্থিত মানবাধিকার কর্মীরা বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ হয়ে মানবাধিকার সংক্রান্ত অর্জন, কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশ নিয়ে প্রেজেন্টেশন দেন। এতে মানবাধিকার নিশ্চিতে প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মধ্যে নেটওয়ার্কিং বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘একা একা তো আর মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা যায় না। তাই নেটওয়ার্কিং করা জরুরি। আমাদের মনোবল ভাঙার জন্য রাষ্ট্রীয়-অরাষ্ট্রীয়ভাবে চেষ্টা করা হয়। তাই আমাদের সংযুক্ত থেকে কাজ করতে হবে।’
মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে রাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে জানিয়ে এ মানবাধিকার কর্মী বলেন, ‘রাষ্ট্রকে জবাবদিহির আওতায় আনা আমাদের মৌলিক কাজ। এজন্য দরকার সচেতন জনগোষ্ঠী। আমাদের অবশ্যই সচেতন জনগোষ্ঠী তৈরি করতে হবে।’
জাতিসংঘের কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মানবাধিকার সংক্রান্ত অনেক অভিযোগের কথা বলা হয়। এই অভিযোগগুলোর ডকুমেন্টেশন জরুরি। এটা একটু দ্রুত করা দরকার। আপনারা জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাকে যে অভিযোগগুলো দেন, সেগুলোর বিষয়ে অন্তত ছয় মাস অন্তর আমাদেরও একটি রিপোর্ট দেবেন। আমাদের যেহেতু চাপ প্রয়োগের একটি জায়গা আছে, সেহেতু এগুলো আমাদের কাছেও থাকা উচিত।’
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস নেটওয়ার্কের সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাইদ আহমেদ, যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সানাইয়া ফাহিমসহ আরও অনেকে।