ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ শুনানি ২০ অক্টোবর
২৮ আগস্ট ২০২২ ১৩:৩৩
ঢাকা: বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে আনা সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) শুনানি আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ দিন ধার্য করেছেন। গত ৮ আগস্ট দেওয়া এই আদেশের বিষয়ে রোববার (২৮ আগস্ট) জানা গেছে। রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৭ সালের ৩ জুলাই সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় প্রদান করে আপিল বিভাগ। ওই রায়ে হাইকোর্টের রায়ের কিছু পর্যবেক্ষণ এক্সপাঞ্জ (বাদ দিয়ে) করে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ‘সর্বসম্মতভাবে’ খারিজ করে দেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১ আগস্ট এ মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এর আগে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর অসামর্থ্যতা ও অযোগ্যতার কারণে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। বিলটি পাসের পর একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
এর আগে বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে ছিল।
এরপর ষোড়শ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর ৯ জন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৯ নভেম্বর ষোড়শ সংশোধনী কেন অবৈধ, বাতিল ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
রুল শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাওয়ার পর ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
অতঃপর আপিলের শুনানি শেষে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ২০১৭ সালের ৩ জুলাই বহাল রাখে আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত রায়টি দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। ওই রায়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করা হয়।
পরবর্তীতে একই বছরের ১ আগস্ট ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।
এ রায় পুর্নবিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। এরপর দীর্ঘ সময়েও আবেদনটির শুনানি আর অনুষ্ঠিত হয়নি।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম