Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইউরোপের বাজার কাঁপাচ্ছে দেশের পোশাক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ আগস্ট ২০২২ ১৬:৫০

ঢাকা: ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক খাত দাপুটে অবস্থানে রয়েছে। পোশাকের এই বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। বাজারটিতে পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধির দিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। সারাবিশ্ব থেকে যেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) পোশাক রফতানি বেড়ছে ২৪ শতাংশ, সেখানে এই বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ।

২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সময়কালের ব্যবধানে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ইউরোপীয় পরিসংখ্যান সংস্থা ‘ইউরোস্ট্যাট’ এর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা।

বিজ্ঞাপন

তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রফতানি বেড়েছে ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ। চীন থেকে রফতানি বেড়েছে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ, বাংলাদেশ থেকে ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ, তুর্কি ২০ দশমিক ৭০ শতাংশ ও ভিয়েতনাম থেকে ২২ শতাংশ। বাংলাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশ থেকেই ইউরোপের বাজারে ৪০ শতাংশের বেশি রফতানি বাড়েনি।

প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ পোশাক রফতানি বেড়েছে। মাসভিত্তিক তথ্যে জানুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ৪৬ শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ২৭ শতাংশ, মার্চে ৫৩ শতাংশ, এপ্রিলে ৩৫ ও মে মাসে ৬২ শতাংশ। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসে পোশাক রফতানি প্রবৃদ্ধি ৫৮ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং ২০১৯ সালের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ২৭ শতাংশ।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উল্লেখিত সময়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানির পরিমাণ ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯.৫৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ে তাদের বৈশ্বিক পোশাক আমদানি ২৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। চীন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পোশাক আমদানি বছরে ২০ দশমিক ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১০ দশমিক ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া ৩২ দশমিক ৬৮ শতাংশ, পাকিস্তান ২৯ দশমিক ২৮ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ২৫ শতাংশ ৩৬ শতাংশ, ভিয়েতনাম ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং মরক্কো ২০ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ইইউর আমদানির পরিসংখ্যান ইইউ বাজারে বাংলাদেশের পোশাকের ভালো অবস্থান নির্দেশ করে। কিন্তু সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে, খুচরা বিক্রেতারা ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি বিশ্ব বাজারের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে সংগ্রাম করছে। অনেক ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের খুচরা বিক্রয় হ্রাস পেয়েছে যা তাদের ইনভেন্টরি স্টক বাড়িয়েছে। এই সমস্ত কারণ বিবেচনা করে, আগামী মাসগুলোতে ইইউ বাজারে আমাদের রফতানি হ্রাসের প্রবণতা দেখা যেতে পারে।’

জানতে চাইলে বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই অর্ডারগুলো সব আগের। মাসে আমাদের রফতানি প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারে উঠে গিয়েছিল। এখন সেটি নিচের দিকে নামছে। এই মাসে রফতানি আয় হতে পারে প্রায় ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। ইউরোপের বাজারের যে পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে সেটি আগের অর্ডার হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ভালো দেখাচ্ছে।’

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

ইউরোপ পোশাক শিল্প বাংলাদেশের পোশাক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর