দুর্নীতির মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে
২৮ আগস্ট ২০২২ ১৭:৫৬
চট্টগ্রাম ব্যুরো: হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনায় বাড়তি ব্যয় দেখিয়ে ৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। তিন বছর আগে দায়ের হওয়া মামলাটিতে অভিযোগপত্র দাখিল করার সময় পর্যন্ত জামিনে ছিলেন তিনি।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় রোববার (২৮ আগস্ট) সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল আত্মসমর্পণ করলে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বেগম জেবুন্নেসা তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় তার জামিনের আবেদন নাকচ করা হয়।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাবলু সারাবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনায় দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার অভিযোগপত্র সম্প্রতি আদালতে জমা দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। এরপর আসামি সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল স্থায়ী জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত উনার উপস্থিতিতে শুনানি করে সেটি খারিজ করে দেন এবং আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কিনে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক সাতজনের নামে মামলা করেছিলেন।
মামলার আসামিরা হলেন- জেনারেল হাসপাতালের তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুল, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আব্দুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার, সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথ এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী কোম্পানি বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন ও এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ।
দুদকের দাখিল করা অভিযোগপত্রে এজাহারভুক্ত সাত জনকেই আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/এমও