‘আগ্নেয়গিরি হয়ে আছে দেশবাসী’
২৮ আগস্ট ২০২২ ১৯:২৫
ঢাকা: রাগ, ঘৃণা ও প্রতিবাদে দেশবাসী আগ্নেয়গিরি হয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উদগ্র ক্ষমতালোভ, জনগণের প্রতি অমানবিক অবজ্ঞা, গোটা জাতিকে করুণ দুর্দশার মধ্যে ফেলেছে। অবিচারের শরাঘাতে গোটা জাতি অনুচ্চারিত যন্ত্রণায় ছটফট করছে। রাগ, ঘৃণা ও প্রতিবাদে আগ্নেয়গিরি হয়ে আছে দেশবাসী। সরকারের জুলুম, নিপীড়ন উপেক্ষা করেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামছে রাজপথে। জ্বালানি তেলসহ নিত্য পণ্যের দাম কমানো, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জাতীয়তাবাদী শক্তি অনড়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রীর বক্তব্য এবং প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করা মানে ভয়াবহ প্রতারণার শিকার হওয়া। আওয়ামী রাজনীতির যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা প্রচলিত কোনো সংজ্ঞা দ্বারা বর্ণনা করা যাবে না। এরা স্বার্থের উর্ধ্বে উঠতে পারে না বলেই জনগণকে হরেক কিসিমের প্রতারণার দ্বারা বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
রিজভী বলেন, ‘‘একবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে সপ্তাহে এক দিনের বেশি তাকে টেলিভিশনে দেখা যাবে না। ক’দিন আগেও তিনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে বাধা না দিতে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার না করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’’
‘কিন্তু এখন প্রতিদিন সব টেলিভিশনের আলো প্রক্ষেপিত হয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে। গুরুত্বপূর্ণ না হলেও পত্রিকার প্রথম পাতার কয়েক কলাম জুড়ে থাকে প্রধানমন্ত্রী বা তার পরিবারের গুণগান। বিএনপিসহ বিরোধীদল ও মতের সংবাদ প্রচারে বিধি-নিষেধের খড়গ ঝুলে থাকে’- বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের ওপর হামলা হবে না- এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমরা কী দেখছি? এখন বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচির ওপর উপর্যপুরি হামলা হচ্ছে এবং রক্তাক্ত আক্রমণ চালিয়ে নিহত ও আহত করা হচ্ছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে।’
রিজভী বলেন, ‘সম্প্রতি ভোলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলি করে নুরে আলম ও আব্দুর রহিমকে হত্যা এবং অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করার ঘটনায় প্রমাণ হয়-শেখ হাসিনা জাতির সঙ্গে নিষ্ঠুর মশকরা করেন। লগি-বৈঠার ধারাবাহিকতা, জিহব্বা ছিঁড়ে ফেলার হুমকি, টকশোতে চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি ইত্যাদি আওয়ামী সংস্কৃতির নমুনা। এরা পেশীশক্তি ও জিহব্বার ধার দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।’
সারাবাংলা/এজেড/এএম