বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আ.লীগের হামলা, এক নেতার বাড়ি ভাঙচুর
২৮ আগস্ট ২০২২ ২১:২২
যশোর: যশোর সদর উপজেলা রূপদিয়া বাজারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার (২৮ আগস্ট) ফের বিএনপি নেতার গাড়ি, বাড়ি ও দলীয় কার্যালয় হামলার ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেল চারটার পরে এই হামলা হয়।
বিএনপি নেতাদের দাবি, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা একযোগে হামলা চালিয়েছে। তারা শহরময় ত্রাস সৃষ্টি করেছে। অবশ্য যুবলীগের নেতারা বলছেন, বিএনপির সঙ্ঘবদ্ধ হামলা তারা প্রতিহত করেছে। বিএনপি আন্দোলনের নামে জেলা জুড়ে সন্ত্রাস করছে।
জ্বালানি তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে আসছে বিএনপি। গতকাল শনিবার যশোর সদর উপজেলা রূপদিয়ায় সমাবেশে মিছিল নিয়ে বের হলে তাতে হামলা চালায় আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জেরে শনিবার রাত থেকে সকাল পর্যন্ত রূপদিয়া ও আশপাশের এলাকার বিএনপি নেতাদের বাড়ি হামলা চালায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে আজ বিকেল সাড়ে চারটায় সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেয় জেলা বিএনপি।
এর আগেই বিকেল চারটায় আদালত থেকে ফেরার পথে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের গাড়িতে হামলা চালায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা। এছাড়া যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যশোর শহরের বিভিন্ন স্থানে এবং প্রেসক্লাবের সামনে সশস্ত্র অবস্থান নেয়।
বিএনপির সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করলে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং অমিতের বাড়ির ভিতরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা শহরের লালদীঘি পাড়স্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে।
বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আমি যখন আদালত থেকে ফিরছিলাম তখন শহরের দড়াটানায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, পৌর কাউন্সিলর রাজিবুল ও টাক মিলনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা আমার গাড়িতে হামলা চালায়। চালকের বুদ্ধিমত্তায় কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি। বাড়ি ফিরে এলে ঘণ্টাখানেক পর আবার বাড়িতে হামলা চালানো হয়। তারা পুলিশের ছত্রছায়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। এই হামলায় দুটি প্রাইভেট ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশকে জানানো হলেও ঘটনা শেষ হওয়ার পরই পুলিশ এসে ঘুরে গেছে। এ সংঘর্ষের সময় ৫ জন আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাড়িতে হামলার আগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের একটি গ্রুপ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এছাড়া তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান করছে এবং গোটা শহরে ত্রাস কায়েম করেছে।’
যশোর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন বিপুল বলেন, ‘বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও তার নেতাকর্মীরা গত কয়েকদিন ধরে সমাবেশের নামে হামলা-ভাঙচুর চালিয়েছে। এর প্রতিবাদে আজ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসার চেষ্টা করলে অমিত ও তার লোকজন হামলা করে। আমরা কেবল তাদের প্রতিহত করেছি।’
একাধিকবার চেষ্টা করেও এ ঘটনায় পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/এমও
আ.লীগের হামলা কার্যালয়ে আ.লীগের হামলা কার্যালয়ে হামলা বাড়ি ভাঙচুর বিএনপির দলীয় কার্যালয়