Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে ইসরায়েলের প্রযুক্তিতে আম চাষ, কৃষকের নিয়ন্ত্রণে থাকবে গাছ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২২ ০৮:০১

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: আমচাষের উপর সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ থাকবে চাষীর। গাছের উচ্চতা হবে একটি মানুষের সমান। ফলে পরিচর্যাও করা যাবে ইচ্ছেমতো। উচ্চতা কম হওয়ায় গাছে আসা ১০০ শতাংশ আমেই ফ্রুট ব্যাগিং করা সম্ভব। গুড অ্যাগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস বা গ্যাপ অনুযায়ী আম চাষাবাদ হওয়ার কারণে এই আম সম্পূর্ণ বিদেশে রফতানি উপযোগী। এছাড়াও আমবাগানের প্রতি ইঞ্চি জায়গা ব্যবহার করা সম্ভব ইসরায়েলের প্রযুক্তি আলট্রা হাইডেনসিটি (অতি ঘন পদ্ধতি) পদ্ধতিতে৷

বিজ্ঞাপন

দেশে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে সফল হয়েছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষী ও রফতানিকারক ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাংগো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিডেটের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান শামীম।

সাধারণত চিরাচরিত নিয়মে এক বিঘা আম বাগানে কৃষি বিভাগ ১.৩ টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। সেখানে ইসরায়েলের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি আলট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতিতে বিঘাপ্রতি আমের উৎপাদন হবে ৫ টন করে।

থাইল্যান্ডের বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন ও ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের কয়েমবাটরের জেইন এগ্রোর বিভিন্ন বাগান পরিদর্শন করে ইসমাইল খান শামীম তিন বছর আগে শিবগঞ্জের একাডেমি মোড়ে প্রতিষ্ঠা করেন এই বাগান। তিনি ইসরায়েলের আলট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতি অনুসরণ করে ও সেচের ক্ষেত্রে দেশীর পদ্ধতি ব্যবহার করে গড়ে তুলেছেন ৪ বিঘার বাগান। সেখানে বারোমাসি কাটিমন জাতের প্রায় ১ হাজার আমগাছ রয়েছে। মাত্র তিন বছরেই এখন তার বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে আম।

আলট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতিতে একই পরিমাণ জমিতে প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় অনেক বেশি গাছ রোপন করা যায়। ফলে ফলন হয় তিন গুণ বেশি। ইসরায়েলের এই আলট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতিতে দক্ষিণ আফ্রিকা, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আম উৎপাদন হলেও বাংলাদেশে এই প্রথম এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আম চাষ শুরু করেছেন ইসমাইল খান শামীম। ইতোমধ্যে সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, সুইচকন্টাক্ট ও স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) যৌথ বাস্তবায়নে আলট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতিতে আম চাষের উদ্ভাবনী দিকগুলো নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

আমচাষী ইসমাইল খান শামীম বলেন, ভারতের তামিলনাড়ু ও ফিলিপাইনে কোকাকোলার ম্যাংগো প্রজেক্ট দেখে ইসরায়েলের আলট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতিতে আম চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। সেই থেকে তিন বছর আগে এই বাগান চাষ শুরু করি। কিন্তু ইসরায়েলের এই প্রযুক্তির একটি অংশ ডিপ ইরিগেশন আমি বাদ দিয়েছি। কারণ আমাদের এই এলাকায় এতো বেশি পানির প্রয়োজন হবে না এবং ডিপ ইরিগেশনে অনেক বেশি খরচ হবে। যা ৪ বিঘার একটি আম বাগানে প্রায় লাখ টাকার মতো। তাই ইসরায়েলের আলট্রা হাইডেনসিটি পদ্ধতির সঙ্গে এখানে শুধুমাত্র সেচের ক্ষেত্রে দেশীয় পদ্ধতিকে যুক্ত করেছি।

সারাবাংলা/এসএসএ

ইসরায়েলের প্রযুক্তিতে আম চাষ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর