Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবৈধ ক্লিনিক ও ব্লাডব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযান আজ থেকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২২ ০৯:৪৪

ঢাকা: আগামী ৯৬ ঘণ্টার মধ্যে দেশের সব বেসরকারি অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাডব্যাংক বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এসব অবৈধ প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিশ্চিত করতে আজ (সোমবার, ২৯ আগস্ট) থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে অভিযান চালাবে অধিদফতর।

রোববার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযানের কথা জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আগে আমরা ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়ে অভিযান চালিয়েছিলাম। প্রথম দফায় অভিযান পরিচালনা শেষেও এখনও অসংখ্য অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়ে গেছে। আগামীকাল থেকে আবারও কঠোর অভিযান পরিচালনা করব। এবার এই অভিযান হবে ৯৬ ঘণ্টার। যেভাবে তিন মাস আগে অভিযান পরিচালনা করেছি, এখনও সেভাবেই হবে। এরপর আমরা অভিযানের সামারি নিয়ে শনিবার বা রবিবার বসব।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে ৩ মাস আগে অবৈধ হাসপাতালগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেছি। তখন বলেছিলাম তিন মাস পর আপনাদের অবহিত করব। আজ সে উদ্দেশেই আপনাদের ডেকেছি। সে সময়ে সর্বমোট এক হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা বলেন, লাইসেন্সবিহীন বা অবৈধ কোনো হাসপাতালে যদি বৈধ কোনো চিকিৎসকও চিকিৎসা সেবা দিতে যান, তাহলে তিনিও অবৈধ বলে বিবেচিত হবে। তাদের কোনো দায় আমরা নেব না।

তিনি বলেন, গত ২৬ মে সারা দেশে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে মোট ১৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। অভিযানে সেগুলোকে জরিমানা করে ২৫ কোটি ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৮৬৭ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে ১৯৪৬টি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শনের অপেক্ষায় আছে ২৮৮৭টি প্রতিষ্ঠান।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত নতুন লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ১৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে। লাইসেন্স নবায়ন হয়েছে ২৯৩০টিকে। নতুন লাইসেন্সের জন্য পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে ৩৭৯টিকে। লাইসেন্স নবায়নের জন্য পরিদর্শন সম্পন্ন হয়েছে ১০৭৬টি এবং নতুন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে অপেক্ষমাণ রয়েছে ২০০০টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে।

ডা. আহমেদুল কবির বলেন, লাইসেন্সের বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে যে, সময় দেওয়ার পরেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদনও করছে না। এমনকি তারা লাইসেন্স ছাড়াই কার্যক্রম চালাচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

তিনি বলেন, বারবার সতর্ক করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন পেন্ডিং অবস্থায় আছে। এজন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের লাইসেন্সের অবস্থা আরও তরান্বিত করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান কার্যক্রম পরিচালনা করা জরুরি।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছেন। তিনি আমাদের আগের চেয়ে জোরদার করে অভিযান চালাতে বলেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ আগস্ট বুধবার দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সুপারভিশন ও মনিটরিং বিষয়ে এক পর্যালোচনা সভা করে অধিদফতর।

অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভার পর্যালোচনায় বলা হয়, সময় দেওয়ার পরেও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স করছে না এবং কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের আবেদনও করছে না। এমনকি লাইসেন্স ছাড়াও প্রতিষ্ঠান চালানো হচ্ছে। বারবার সতর্ক করার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এখনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশোধন না করার ফলে আবেদন প্রক্রিয়া অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এজন্য বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে লাইসেন্স নিতে বাধ্য করতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে অভিযান কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, দেশে অনুমোদিত ও আবেদনকৃত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।

সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ

অবৈধ ক্লিনিক ও ব্লাডব্যাংক টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর