সেপ্টেম্বরেই রামগড় স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন
২৯ আগস্ট ২০২২ ১৮:১৫
খাগড়াছড়ি: রাষ্ট্রীয় সফরে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লী যাচ্ছেন। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
সোমবার (২৯ আগস্ট) খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন ভবন নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘উদ্বোধনের পর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। তখন দুই দেশের নাগরিকরা ভিসা সাপেক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।’
সূত্রমতে, স্থলবন্দরের স্থায়ী কাঠামো তৈরি নিয়ে জটিলতার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় অস্থায়ী অবকাঠামোয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। জটিলতা নিরসন হলে বন্দর দিয়ে পণ্যবাহী গাড়িসহ আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হবে। মূলত ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের আগে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করায়, প্রথমে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করছে বাংলাদেশ বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থলবন্দর ব্যবহার করে মাত্র ৩ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ট্রান্সশিপমেন্টের পণ্য যেতে পারবে ভারতে। দেশটির সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যসহ মেঘালয়, আসাম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড এবং অরুণাচলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হবে এই বন্দর দিয়েই। একইসঙ্গে রামগড় স্থলবন্দর ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। বাড়বে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পর্যটনসহ বিকশিত হবে পাহাড়ের অর্থনীতি।
রামগড় স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সারওয়ার আলম বলেন, ‘ইমিগ্রশন সেন্টার নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। প্রাথমিকভাবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হবে। সীমান্ত জটিলতায় নিরসন হলে বন্দর অবকাঠামো নির্মাণ কাজও শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সমফরে রামগড় স্থলবন্দর ইস্যুটি নিয়ে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সমাধান তৈরি হবে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থলবন্দরের প্রকল্প পরিচালক মো. সারওয়ার আলম, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীক কুমার কারবারী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত, রামগড় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা।
সারাবাংলা/এমও