‘যে কাজটা তারা শুরু করেছে, সেটা সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে’

ঢাকা: বিএনপির সভা-সমাবেশে সরকার দলীয় লোকজন অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে অভিযোগ করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যে কাজটা তারা শুরু করেছে, সেটা সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে।’

সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সারাদেশের উপজেলা পর্যায়ে বিএনপি ঘোষিত চলমান কর্মসূচিতে হামলা করা হচ্ছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির সভা-সমাবেশ, দলীয় কার্যালয় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, নেতা-কর্মীদের খুন-জখম করছে। একবারও চিন্তা করছে না, যে কাজটা তারা শুরু করেছে, সেটা সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে।’

‘কিছুদিন আগে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বললেন, কাউকেই গ্রেফতার করা হবে না, সভা-সমিতির সব কিছু করতে দেওয়া হবে। এখন ঠিক উল্টা কাজটি তারা করছেন। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। তাদের সন্ত্রাসী চরিত্র আরও একবার জনগণের কাছে উদ্ভাসিত। এভাবেই তারা এদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণত করেছে’- বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘ঘোষিত উপজেলা-থানা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পর্যায়ের কর্মসূচি আগামী ১০ সেপ্টম্বর পর্যন্ত চলবে। যেসব উপজেলা ও থানায় কর্মসূচি হয়নি, সেগুলোতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এরপরে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।’

জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে গত ২২ আগস্ট থেকে উপজেলা-থানা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি করে বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে যশোর, মুন্সিগঞ্জে, টাঙ্গাইল, ফেনী, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ঠাকুগাঁও, লক্ষীপুর, ময়মনসিংহ, মাগুরা, গাইবান্ধা, বরিশাল, খুলনা, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, রাজশাহী, নোয়াখালী, ভোলা, নাটোর, কুমিল্লা, নড়াইলের বিভিন্ন উপজেলায় গত ২২ আগস্ট থেকে চলমান বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশি হামলার ঘটনাসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘এই পর্যন্ত এসব হামলায় আহত হয়েছেন সাত শতাধিক নেতা-কর্মী। মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে কয়েক হাজার নেতাকর্মীর নামে। মোট গ্রেফতারের সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬০ জনের অধিক।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠিনক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবুল কালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু, সাইফুল আলম নিরব, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এএম

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর