Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হানিফ পরিবহনের রুট পারমিট বন্ধের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৯ আগস্ট ২০২২ ২০:১৯

ঢাকা: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ হানিফের নামে চলা হানিফ পরিবহন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক এস এম রাসেল জাহিদের নেতৃত্বে একদল তরুণ। অবিলম্বে এই পরিবহন বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানান তারা।

সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হানিফ পরিবহনের কমলাপুর কাউন্টারের সামনে মানববন্ধন করেন একদল তরুণ। তারা সেখানে ব্যানার নিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন এবং নানা ধরনের স্লোগান দেন। এ সময় ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্দোলনের আহ্বায়ক এস এম রাসেল জাহিদ সারাবাংলাকে বলেন, হানিফ পরিবহন বন্ধের দাবিতে কমলাপুর কাউন্টারের সামনে সোমবার মানববন্ধন করেছি। আগামীকাল (৩০ আগস্ট) আমরা একইসঙ্গে চারটি কাউন্টারের সামনে আন্দোলন করব। এরমধ্যে কমলাপুর, ফকিরাপুল, মালিবাগ ও আরামবাগ কাউন্টার রয়েছে। এতে কাজ না হলে আমরা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়সহ বিভিন্ন দফতরে স্মারকলিপি দেবো। তবুও এই খুনির নামে চলা পরিবহন আমরা বন্ধ করেই ছাড়ব।

এক প্রশ্নের জবাবে রাসেল জাহিদ বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার চূড়ান্ত রায় হয়েছে ২০১৮ সালে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত আন্দোলন চলমান ছিল। পরবর্তীতে কিছু কুচক্রী মহল ও করোনার কারণে এই আন্দোলন স্তিমিত হয়ে পড়ে। করোনা পরবর্তী সময়ে আমরা আবারও সক্রিয়। এবার এর শেষ দেখেই ছাড়ব। আমাদের একটাই দাবি হানিফের নামে কোনো পরিবহন এই দেশে চলবে না।

দেশে কোন রুটে কোন পরিবহন চলবে তার অনুমতি দেয় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটি (বিআরটিএ) এবং নিয়ন্ত্রণ করেন মালিক সমিতি। সেক্ষেত্রে আপনারা কি এসব জায়গায় কোনো অভিযোগ দিয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো কাউকে কোনো লিখিত আবেদন দেইনি। এমনকি আমাদের একটি কমিটি হবে শিগগিরই। সেই কমিটির মাধ্যমে আমরা সব জায়গায় মুভমেন্ট করব।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। গুরুতর আহত হন কয়েকশ নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অনেকে ওই ঘটনার শিকার হয়ে দেহে এর ক্ষত বহন করছেন এখনো।

আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ বিএনপি-জামায়াত জোট আমলের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, গোয়েন্দা সংস্থার তৎকালীন দুই শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৪ জন জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি-বি) সদস্য।

অন্যতম আসামি লুৎফুজ্জামান বাবর ও আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। তারেক রহমান এবং হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জনকে মামলার নথিতে পলাতক দেখানো হয়েছে। বাকি তিনজনের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একজন আসামি হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোহাম্মদ হানিফ। যিনি পলাতক। তাকেও মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতউল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, আন্দোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। কারণ কোন পরিবহন চলবে না, চলবে তার দেখভাল করে বিআরটিএ।

সারাবাংলা/ইউজে/এএম

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর