নতুন প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ হলেও ৬ বছর ধরে নেই স্টেশন মাস্টার
৩১ আগস্ট ২০২২ ০৮:১৪
ঠাকুরগাঁও: স্টেশন মাস্টার ও কর্মচারি ছাড়াই গত ৬ বছর ধরে চলছে জেলার সদর উপজেলার আখানগর রেলস্টেশন। তবু প্রতিনিয়ত থামছে ট্রেন। সম্পতি লাখ লাখ টাকা খরচ করে স্টেশনের নতুন প্ল্যাটফর্ম ও ঘর নির্মাণ করা হলেও প্রয়োজনীয় জনবলের দেখা নেই। ফলে রেলের সম্পদ রক্ষাণাবেক্ষণের যেমন কেউ নেই, তেমনি টাকা দিয়েও হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।
স্থানীয়রা জানায়, আখানগর স্টেশনের উপর দিয়ে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় রুটে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, দ্রুতযান, একতা, দোলনচাঁপা ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে কাঞ্চন ট্রেনটি আখানগর স্টেশনে থামলেও যাত্রীরা উঠতে পারছে না। উঠলেও, বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠার পর টিটিদের দিতে হয় বাড়তি টাকা। অনেক সময় টাকা দিয়েও হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের।
আখানগর এলাকার বাসিন্দা ফজলে রাব্বি বলেন, সেই ছোট কাল থেকে দেখে আসছি পঞ্চগড়-পার্বতীপুর রুটের সকল ট্রেন এই স্টেশনে থামত। এলাকার মানুষ দিনাজপুর ও পার্বতীপুর যাতায়াত করত ট্রেনে করে। ট্রেন আসার পূর্ব মুহূর্তে লোকজন আর বিভিন্ন মালামালে ভোরে যেত স্টেশনের প্লাটফর্ম। কিন্তু বর্তমানে ট্রেন থামলেও নেই স্টেশন মাস্টার। একই কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা তৈমুর ইসলাম।
আরেক বাসিন্দা রুবেল ইসলাম বলেন, দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তারই সুবাদে এরইমধ্যে আখানগর স্টেশনে নতুন প্ল্যাটফর্ম ও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় লাখ লাখ টাকা খরচ কি লাভ, যদি স্টেশন মাস্টারেই না থাকে? অপরদিকে সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্টেশনের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি নষ্টের পথে। তাই এই রেল-স্টেশনকে টিকিয়ে রাখতে দ্রুত লোকবল নিয়োগের দাবি স্টেশনে আসা যাত্রীদের।
রেলওয়ের লালমনিরহাটের (ডিসিও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ডিভিশনের আওতায় আনুমানিক প্রায় ২০টি রেল স্টেশনে লোকবল সংকট রয়েছে। তবে আশা করা যায় আগামী ২ বছরের মধ্যে সংকট কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।’
সারাবাংলা/এএম