কৃষিক্ষেত্রে এআইপি প্রাপ্তদের সুবিধাদি তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০০:২০
ঢাকা: কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সুবিধাদি সংসদে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৭ জুলাই ‘কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) সম্মাননা ২০২০’ দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছরই এ সম্মাননা দেওয়া হবে। এতে ফসল খাতের সঙ্গে মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং বন উপখাত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বুধবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের এ কে এম রহমতুল্লাহর লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিম্নলিখিত পাঁচটি ক্যাটাগরিতে (বিভাগে) সর্বোচ্চ ৪৫ জনকে এআইপি দেওয়া যাবে।’ ক্যাটাগরিগুলো হলো-
১. বিভাগ ‘ক’- কৃষি উদ্ভাবন (জাত/প্রযুক্তি)-সর্বোচ্চ ১০ জন। এর মধ্যে ফসল উপখাত থেকে পাঁচ জন, মৎস্য উপখাত থেকে দু’জন, প্রাণিসম্পদ উপখাত থেকে দু’জন এবং বন উপখাত থেকে একজন।
২. বিভাগ ‘খ’- কৃষি উৎপাদন/বাণিজ্যিক প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে সর্বোচ্চ ১৫ জন।
৩. বিভাগ ‘গ’- রফতানিযোগ্য কৃষি পণ্য উৎপাদনে সর্বোচ্চ ১০ জন।
৪. বিভাগ ‘ঘ’- স্বীকৃত বা সরকার কর্তৃক রেজিস্টিকৃত কৃষি সংগঠনের সর্বোচ্চ পাঁচজন।
৫. বিভাগ ‘ঙ’- বঙ্গবন্ধু কৃষি পুরস্কারে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সর্বোচ্চ পাঁচজন।
এআইপিগণ নিম্নবর্ণিত সুবিধাগুলো পাবেন:
১. এআইপি কার্ডের সঙ্গে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রশংসাপত্র।
২. সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাস।
৩. বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ।
৪. বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে ভ্রমণকালীন সরকার পরিচালিত গণপরিবহনে আসন সংরক্ষণ।
৫. বিদেশে ভ্রমণের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা প্রাপ্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে উদ্দেশ্য করে Letter of Introduction ইস্যু করবে।
৬. একজন এআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা, মাতা, পিতা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালের কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন। এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
সুবিধাদির স্থায়ীত্ব: এআইপি’র প্রদত্ত সুবিধাদি এক বছর কার্যকর থাকবে।
এআইপি সম্মাননা প্রবর্তনের মাধ্যমে কৃষি পেশার মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে কৃষি উন্নয়নে সংশ্লিষ্টরা অনুপ্রাণিত হয়ে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম