খাসজমি উদ্ধার করে গৃহহীনদের আবাস নির্মাণ
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:৫৬
গাইবান্ধার: জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা ইটভাটা অপসারণের পর উদ্ধার হওয়া ১০৪ শতক জমিতে নির্মাণ করা হয়েছে অসহায় মানুষদের জন্য স্বপ্নের আবাস। জমিটি ১৮ বছর যাবৎ অবৈধ দখলে ছিল। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এসব পাকাঘর পাবেন ৩২টি গৃহহীন পরিবার। প্রকল্প এলাকার পাশেই রয়েছে পাকা সড়ক, স্কুল কলেজ ও হাট-বাজার। এমন সুবিধাজনক স্থানে ঘর পাওয়ায় খুশি সুবিধাভোগীরা।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার কামারদহ ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের প্রায় ১০৪ শতক সরকারি খাসজমি দখল করে আবু রায়হান নামে এক ব্যক্তি। ১৮ বছর ধরে জায়গাটি দখল করে ছিলেন তিনি। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করে শুরু করেছে গৃহনির্মাণ কাজ। এর মধ্যেই ঘর নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে বিদ্যুৎ সংযোগসহ শেষে মুহূর্তের কাজ। প্রায় ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২টি অসহায় পরিবারের জন্য এসব ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এককেটি ঘরে ২টি রুমসহ টয়লেট ও রান্নাঘর রয়েছে। এছাড়াও ঘরের সামনে রয়েছে গাছ লাগানোর জায়গা ও হাটাচলার সড়ক। এছাড়া সভা-সেমিনার করার উন্মুক্ত স্থানও রয়েছে। সামান্য দূরেই ফাঁসীতলা বাজার, তারপাশেই রয়েছে স্কুল-কলেজ রয়েছে। আর কেউ অসুস্থ হলে পাশের মহাসড়ক ব্যবহার করে দ্রুত সময়েই যেতে পারবেন গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে।
এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার তাদের নির্ধারিত ঘরে থাকতে শুরু করেছেন। তাদের একজন হলেন মরিয়ম বেওয়া। আগে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে থাকতেন তিনি। পাকা ঘর পেয়ে খুব খুশি এই নারী। মরিয়ম বেওয়া বলেন, ‘আগে ঝড় ও বাতাস হলে ভয়ে ভয়ে থাকতাম, এখন আর সে চিন্তা নেই।’ সুন্দর ঘরমাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
সুবিধাভোগী বৃদ্ধ জব্বার সরকার বলেন, ‘সারাজীবন এক শতক জায়গাও কিনতে পারিনি। অন্যের জায়গায় কুঁড়ে ঘরে ছিলাম। এখন পাকাঘর পেয়েছি, এই সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
সম্প্রতি গোবিন্দগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আব্দুল্যাহ-বিন-শফিক এই প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, ঘরগুলো খুব দ্রুত সুবিধাভোগী গৃহহীণ ও ভূমিহীন ৩২টি পরিবারের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এজন্য নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। যাতে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের নিয়ে নিরাপদে বসবাস করতে পারেন।
সারাবাংলা/এনএস