Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় বিএনপির বর্ণাঢ্য র‌্যালি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১৫

ঢাকা: দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালি করেছে রাজপথের বিরোধীদল বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়। এর পর নাইটেঙ্গল মোড়, বিজয় নগর সড়ক, পল্টনের মোড় হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।

বড় আকৃতির জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকার পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন, জিয়াউর রহমান-খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের প্রতিকৃতিসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা এই র‌্যালিতে অংশ নেয়। র‌্যালিতে ঘোড়ার গাড়ি ও হাতিও ছিল।

বিজ্ঞাপন

র‌্যালির আগে ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা এই র‌্যালির মাধ্যমে সমগ্র দেশবাসী ও এই সরকারকে জানিয়ে দেব যে, বিএনপি এখন সবচেয়ে বড় দল। এই দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রয়াত শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’

 

‘এই দলকে শক্তিশালী করেছেন, বিকশিত করেছেন, জনগণের মধ্যে একে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি এখনো গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছেন এবং এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের মিথ্যা মামলায় অন্তরীণ অবস্থায় আছেন, অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় আছেন’- বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, কিছুদিন আগে ভোলাতে আমাদের ছাত্র দলের নেতা নুরে আলম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে শহিদ হয়েছে। এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্রকে নির্বাসিত করেছে। আমাদের নেত্রী- যিনি সারাটা জীবন গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, তাকে গৃহ অন্তরীণ করে রেখেছে। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। আমাদের ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যখন মানুষ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য আন্দোলন করছে তখন তারা (সরকার) মনে করেছে চুরি করে, গুম করে, হত্যা করে, অত্যাচার-নির্যাতন করে এই আন্দোলনকে দমিয়ে রাখবে।’

র‌্যালি থেকে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব।

র‌্যালিতে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বড় বড় প্রতিকৃতি হাতে ‘শুভ শুভ শুভদিন, বিএনপির জন্মদিন’, ‘স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া, লও লও লও সালাম’, ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেয় কর্মী-সমর্থকরা।

মহানগর বিএনপি উত্তরের আহবায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বক্তব্য দেন।

র‌্যালিতে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নুল আবদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের মশিউর রহমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, আবদুস সালাম আজাদসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন।

র‌্যালি উপলক্ষে নয়া পল্টনসহ শান্তিনগর পর্যন্ত ব্যাপক পুলিশ ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনকে মোতায়েন করা হয়। শোভাযাত্রার অগ্রভাবে পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা ছিলেন।

এর আগে, দুপুর থেকে নয়াপল্টনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। র‌্যালি শুরু হওয়ার পর এক ঘণ্টা নয়াপল্টন, ফকিরাপুল, মালিবাগ, বেইলি রোড, কাকরাইল, বিজয়নগর সড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়।

কর্মসূচি

এদিকে, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান হত্যার প্রতিবাদে শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বাদ জুম্মা সারাদেশে গায়েবানা জানাজা ও শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সারাদেশে প্রতিবাদ সভা ঘোষণা করেন বিএনপির মহাসচিব।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপি র‌্যালি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর