‘মিডিয়া কাভারেজ পেতে বিএনপি আন্দোলনে সিচুয়েশন তৈরি করে’
১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:১৯
ঢাকা: মিডিয়া কাভারেজ পেতে বিএনপি আন্দোলনে সিচুয়েশন তৈরি করে অভিযোগ করে সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করলেও কাউকে কিছু বলবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি কিছু না বলার জন্য এটি ঠিক। পুলিশ তো আগ বাড়িয়ে কিছু করেনি। পুলিশ যদি আক্রান্ত হয় তার নিজেকে বাঁচাবার অধিকার আছে। সেটি কি নাই? নাকি পুলিশ বলে আক্রান্ত হলেও নিজেকে রক্ষা করার কোনো অধিকার থাকবে না। আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি। মিছিল করেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করেন কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না।’
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সংসদের ১৯ তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘রুমিন ফারহানা বলে গেল খুব খারাপ নাকি অবস্থা। ভোলার ঘটনা নিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে গেল, প্রতিবাদ করে গেছে। বাংলাদেশে কী হতো? ৭৫ এ জাতির পিতাকে হত্যা করা হলো, খুনিদের আরও উৎসাহিত করা হলো। বিচারের হাত থেকে তাদের রেহাই দেওয়া হলো।’
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে সংসদ নেতা বলেন, ‘তাদের কথায় মনে হয়, তারা বোমা ছুড়বে, লাঠি মারবে, ঢিল মারবে, গুলি করবে সব করবে তাদের কিছু বলা যাবে না। আমি তো আন্দোলন করার কথা বলেছি, মিছিল করেন, আন্দোলন করেন। শান্তিপূর্ণভাবে করলে কেউ কিছু বলবে না। যেখানে শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে সেখানে তো কেউ কিছু বলছে না। কিন্তু এরা তো মাঠে নেমেই আগে কোথায় কাকে আক্রমণ করবে, কীভাবে একটা সিচুয়েশন তৈরি করবে- এসব করছে। এর পেছনে একটি কারণ আছে, কারণ হলো এমনি মিছিল করলে তো মিডিয়া কাভারেজ পাবে না। মিডিয়াতে কাভারেজ করার জন্যই তারা এমন ঘটনা ঘটাবে যেন তারা একটু ইয়ে পায়।’
তিনি বলেন, ‘এখন গুম, খুন হত্যা নিয়ে কথা হয়। বাংলাদেশে ৭৫ এর পর কী ঘটেছে? ২০০১ সালে নির্বানের পর বরিশালের গৌরনদী থেকে ২৫ হাজার লোক টুঙ্গিপাড়ায় আশ্রয় নিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ডিজেল বেশি দামে কিনে অল্প মূল্যে দিচ্ছি। প্রত্যেকটা খাতে আমরা দিচ্ছি, কারণ কৃষক উৎপাদনটা বাড়াবে। দুই কোটি কৃষক উপকারভোগী কার্ড পায়। অর্থনীতির প্রত্যেকটা খাতে ভর্তুকি দিচ্ছি। যারা সাধারণ মানুষ তাদের জন্য ভর্তুকি দিচ্ছি। যারা উচ্চবিত্ত তারা হয়ত একটু অখুশি হতে পারেন। সাধারণ মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেদিকেই বেশি দৃষ্টি দিচ্ছি। এটি আমার নীতি, সেটিই আমি করে যাচ্ছি। কিন্তু হতাশাব্যঞ্জত কথা ছড়িয়ে মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো মোটেও সমুচিত নয়।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে