গ্যাসের চুলার আগুনে দগ্ধ ২ জনের মৃত্যু
২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:১৭
ঢাকা: কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় শাহাদত হোসেন (২০) ও বেগম (৬০) নামে আরও দুইজন মারা গেছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো তিনজনে।
শাহাদত শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শাহাদত (২০) ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মারা যায় বেগম (৬০)।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল।
তিনি বলেন, ‘দগ্ধ শাহাদত ও বেগম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বেগমের শরীরের ২৩ শতাংশ ও শাহাদতের ৫২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুরে ৬০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মারা যান মরিয়ম (৪) নামে এক শিশু।
ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, ‘বর্তমানে ইদুনী ওরফে পান্না বেগম ৩০ শতাংশ, সোনিয়া ২৩ শতাংশ, ইয়াছিন ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। ইয়াছিনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আর বাকিদের হাই ডিপেনডেন্সি (এইচডিইউ) ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
দগ্ধ মরিয়মের বাবা ওসমান গনি বলেন, ‘তাদের বাসা মান্দাইল খালেরঘাট এলাকায়। গত চারদিন আগে মেয়ে মরিয়মকে নিয়ে মায়ের বাসায় বেড়াতে আসেন সোনিয়া। তাদের আরেক ছেলে ইমরান (১২) একটি মাদরাসায় পড়েন এবং মাদরাসাতেই থাকেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাহাদত ও ইয়াছিন দুই ভাই। তাদের মা ছালমা বেগম সৌদি আরব থাকে। তারা দুই ভাই নানী মোছা. বেগমের কাছে থাকতেন। শাহাদত শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে পড়াশোনা করত। আর ইদুনী বেগম সোনিয়ার ফুফু হয়।’
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ জিনজিরা মান্দাইল মন্দিরের সামনের বাসায় এই আগুনের ঘটনা ঘটে।
তাদের কে হাসপাতালে নিয়ে আসা সাহাদতের বন্ধু নাজমুল হাসান সাকিব বলেন, ‘দগ্ধরা দ্বিতীয় তলা বাসার নিচ তলায় থাকতেন। ভোরে আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন ওই বাসায় ছুটে যান। সেখানে ওই ছয়জনকে দগ্ধ অবস্থায় পাই। পরে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।’
সাকিব জানান, দগ্ধদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ভোরে দগ্ধ বেগম রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা চালু করলে সারাঘরে আগুন লেগে যায়। সেই আগুনে তারা দগ্ধ হন।
সারাবাংলা/এসএসআর/একে