Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এত বড় সম্মান কখনও পাইনি: প্রধানমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২০:১৯

ঢাকা: চা শ্রমিকদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার এক জোড়া হাতের বালাকে (চুড়ি) নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার হিসাবে হিসাবে আখ্যায়িত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘চা শ্রমিকদের অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আবার আপনারা গণভবনে এসেছিলেন। আমার জন্য উপহারও নিয়ে এসেছিলেন। সেই উপহার কিন্তু এখন হাতে পরে বসে আছি। আমার কাছে এটি হচ্ছে সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ। কারণ আমার চা শ্রমিক ভাইরা চারআনা আটআনা পয়সা জমিয়ে আমাকে এই উপহারটা দিয়েছেন। এত বড় সম্মান আর এত বড় উপহার আমি আর কখনও পাইনি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘চা শ্রমিকদের অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আবার আপনারা গণভবনে এসেছিলেন। আমার জন্য উপহারও নিয়ে এসেছিলেন। সেই উপহার কিন্তু এখন হাতে পরে বসে আছি। আমার কাছে এটি হচ্ছে সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ। কারণ আমার চা শ্রমিক ভাইরা চারআনা আটআনা পয়সা জমিয়ে আমাকে এই উপহারটা দিয়েছেন। এত বড় সম্মান আর এত বড় উপহার আমি আর কখনো পাইনি।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নাগরিকত্ব দিয়ে গেছেন তার কন্যা হিসাবে মনে করি আপনাদের প্রতি আমার একটা আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। আর সেই দায়িত্বটা সবসময় চেষ্টা করি যথাযথভাবে পালন করতে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চা শ্রমিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের শুরুতে তিনি এ সব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখোলা, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট চন্ডিছাড়া চা বাগান,সিলেট ও চট্টগ্রামে যুক্ত হয়ে মতবিনিময় করেন। পরে চা শ্রমিকরা তাদের দাবি পূরণে তাদের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। প্রধানমন্ত্রীও চা শ্রমিকদের ঘরবাড়ি করে দেওয়াসহ পরবর্তীতে যেকোন সময় চা বাগানে গিয়ে তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন বলে আশ্বাস দেন।

স্বাধীনতার পূর্বে ১৯৭০ সালে শমসেরনগর চা বাগানে বিঙ্গবন্ধুর ভাষণ দেওয়ার কথা তুলে ধরার কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া স্বাধীনতার পর জাতির পিতা আবার যের চা শিল্পটা গড়ে ওঠে তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেন বিষয়েও নানা পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কথা তুলে ধরেন।

শ্রমিকদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বীকৃতি দিয়ে যান এবং তাদের ভোটাধিকার দিয়ে যান সে কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি চা শ্রমিকদের নানা সমস্যা যেন দূর হয় সেই ব্যবস্থা করতে এবং চা বাগান যাতে সম্প্রসারিত হয়, যেমন পঞ্চগড় সেই ব্যবস্থা শুরু করি বলেও জানান তিনি।

‘আমাদের সাধারণ শ্রমিকদের যেভাবে কাজ করে আমাদের চা শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রটা একটু ভিন্ন। কাজেই তাদের সমস্যাগুলোও একটু ভিন্ন। আমরা সরকার গঠন করার পর থেকেই আমাদের সবসময় একটা চেষ্টা চা শ্রমিকরা তারা যেন অন্তত ভালভাবে বাঁচতে পারে। কারণ তারা আমাদের দেশেরই নাগরিক। একসময় তো তাদের নাগরিকত্ব ছিল না। তাদের কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। কাজেই আমরা অন্তত আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর যেহেতু চা শ্রমিকরা সবসময় নৌকায় ভোট দেন, কাজেই আমরা আসার পর চেষ্টা করেছি আপনাদের সমস্যাগুলো দূর করতে’ বলে জানান তিনি।

‘কিছুদিন আগে যে আন্দোলন হলো, আমি লক্ষ্য করছিলাম। এরপর মালিকদের বসি। তাদের সঙ্গে বসে আলোচনা করে, একটি চা শ্রমিক তার জীবনটা কীভাবে চালাতে পারে সেটা নিশ্চিত করার জন্য মজুরি নির্ধারণ করা হয় এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারণ করা হয়। কাজেই আপনাদের চাহিদাটা আমরা পূরণ করতে পেরেছি বলেই আমি মনে করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনাদের পূর্বপুরুষদের একসময় ব্রিটিশরা নিয়ে এসেছিল। তাদের কোনো নাগরিকত্ব ছিল না, কোনো সুযোগ সুবিধা ছিল না। কিন্তু আজকে আপনারা এদেশের নাগরিক। যেহেতু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নাগরিকত্ব দিয়ে গেছেন তার কন্যা হিসাবে আমি মনে করি আপনাদের প্রতি আমার একটা আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। আর সেই দায়িত্বটা আমি সবসময় চেষ্টা করি যথাযথভাবে পালন করতে।’

চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার কারণে আনন্দ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি এর আগেও অনেক বার গিয়েছি। এমনকি শ্রীমঙ্গলে আমি থেকেছিও। কাজেই চা শ্রমিকদের অনেকের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। আবার আপনারা গণভবনে এসেছিলেন। আমার জন্য উপহারও নিয়ে এসেছিলেন। সেই উপহার কিন্তু এখন হাতে পরে বসে আছি। আমি এটি ভুলিনি। আমার কাছে এটা হচ্ছে সবচেয়ে অমূল্য সম্পদ। কারণ আমার চা শ্রমিক ভাইরা চার আনা আটআনা পয়সা জমিয়ে আমাকে এই উপহারটা দিয়েছেন। এতো বড় সম্মান আর এতো বড় উপহার আমি আর কখন পাইনি। এজন্য সবসময় এটি আমি রাখি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা এদেশের মানুষের জন্য সারাটা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। সাধারণ মানুষ গরীব মানুষ খেটে খাওয়া মানুষ তারা যেন ভালো থাকেন। যেন তারা সুন্দর জীবন পান। এটাই ছিল তার জীবনের একমাত্র সাধনা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চা শিল্পটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা শিল্প। চা বাগান দেখতেও সৌন্দর্য । এটি আমাদের একটা অর্থকরী ফসল। কাজেই এটা যেন ধ্বংস না হয়, আরও ভাল হয় সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে।’

গণভবন প্রান্তে মতবিনিময় সভা পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বিভিন্ন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকরা। এ সময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/একে

টপ নিউজ টপ নিউজ চা শ্রমিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিনিয়র সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১

সম্পর্কিত খবর